৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে মিশন চালু করবে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা

চট্টগ্রাম চেম্বারে প্রতিনিধিদলের মতবিনিময়
-

অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্র, কৃষি, বাণিজ্য ও বার্বুডাবিষয়ক মন্ত্রী এভারলি পাল চেট গ্রিনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেন। চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, ওমর মুক্তাদির, প্রতিনিধিদলের বিনিয়োগ ইউনিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কারমাইন ডোনোভান, অভিবাসীর চেয়ারম্যান-পরিচালক ই. ক্যাসরয় জেমস, জুলিয়েট জেনিল মার্সেল ও পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক মো: জহিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এ সময় মো: অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান ও মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্র, কৃষি, বাণিজ্য ও বার্বুডাবিষয়ক মন্ত্রী এভারলি পাল চেট গ্রিন বলেন, বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা খুব শিগগিরই মিশন চালু করবো। অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পর্যটন ও মৎস্য সেক্টর অনেক সমৃদ্ধিশালী। এ ছাড়াও এখানে উৎপাদন হয় রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম, সয়াবিন ও সুগারক্যানসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য। তিনি বলেন- অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার রয়েছে শক্তিশালী পাসপোর্ট। পৃথিবীর ১৬০টি দেশে সহজে যেতে পারে পাসপোর্টধারীরা। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে ঝামেলামুক্ত বিনিয়োগ সুবিধা। বিনিয়োগকারীরা সহজে প্রবেশ করতে পারে আমেরিকাসহ যুক্তরাজ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে। তাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এসব সুবিধা বিবেচনা নিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে তিনি উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন ও হসপিটালিটির বিকাশে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে চট্টগ্রাম চেম্বার নেতৃবৃন্দকে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা সফরে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চল বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং ও টেক্সটাইল খাতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের নামী-দামি ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪তম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে। তার পরও বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ল্যাটিন অঞ্চলগুলো থেকে সয়াবিন ও ‘র’ সুগারসহ মসলা আমদানি করে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজার। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা সরকার কর্তৃক বিনিয়োগের প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করে চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর এবং বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পর্যটন খাতে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।


আরো সংবাদ



premium cement