৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মুলাদীতে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বরিশালের মুলাদীতে পতিত জমিতে সূর্যমুখীর ভালো ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সূর্যমুখী চাষও হয়েছে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে। আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুলাদী, নাজিরপুর, চরনাজিরপুর, চরকমিশনার এলাকার কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করেছেন। কয়েকটি স্থানে ব্লক ও প্রদর্শনী করে এই ফসলের তদারকি করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এ বছর উচ্চফলনশীল আরডিএস হাইব্রিড-এস ২৭৫, হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ, সার ও ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। গত বছর উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হয়েছিল। চলতি বছর ৯০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।

মুলাদী সদর ইউনিয়নে চরলক্ষীপুর গ্রামে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন কৃষক গ্রুপের প্রধান জাকির হোসেন বলেন, ‘কৃষি কার্যালয়ের সহযোগিতায় আমরা এবার ৫০ শতক জমিতে হাইসান-৩৩ (হাইব্রিড) সূর্যমুখী চাষ করেছি। কৃষি কার্যালয় থেকে সার, বীজ ও ওষুধ দিয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে।’

সূর্যমুখী ক্ষেত দেখেতে আশা সুজন, নুসরাত, সিলমুন, সিরাত, সামিত, তাহিরা ও তাহিয়া জানান, ‘সূর্যমুখী হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তাই পরিবারের কয়েকজন মিলে একটু দেখতে ও ছবি তুলতে আসলাম। এখানে এসে সূর্যমুখী ক্ষেত ঘুরে ও ছবি তুলতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর উপজেলায় সূর্যমুখীর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাহিদা এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন। অনেক পতিত জমিতে কৃষি চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে কৃষকদের বাড়তি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে বীজ সার দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছে। ফলে সূর্যমুখী এবং সরিষার আবাদ দিন দিন বাড়ছে। তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’


আরো সংবাদ



premium cement