মির্জাগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি : বাজারসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সুবিদখালী বাজারসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর বেড়িবাধের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে রামপুর, সন্তোষপুর ও কাঠালতলীসহ অন্তত পাঁচটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে এসব এলাকার মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। এছাড়া এলাকার ছোট বড় পুকুরসহ অনেক মাছের ঘের ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্য চাষীরা।

এদিকে সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের পানি চার থেকে পাঁচ ফুট উচুতে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাটের পন্টুনের গ্যাংওয়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারও যাত্রী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরি ও ট্রলারে উঠতে হচ্ছে তাদের।

শ্রীমন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুবিদখালী, কাঠালতলী ও মহিষকাটা বাজার তলিয়ে যাওয়ায় বাজারে আসা লোকজনদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাজার তলিয়ে যাওয়ায় বুধবার সাপ্তাহিক হাটে বেচাকেনা কমেছে। এতে আরো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

অপরদিকে পায়রা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পিপড়াখালী বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত ১৫টি পরিবারের বাড়ি-ঘর প্রতিদিন দু’বার করে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দ্রা কালিকাপুর, ভিকাখালী, রামপুর, পিপড়াখালী, কপালভেড়া ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের গোলখালী, মেহেন্দীয়াবাদ, চরখালী, রাণীপুর, কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ভয়াং ও কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মানুষ জোয়ার ও ভাঙন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। অতি দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: তানিয়া ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) অবহিত করা হয়েছে। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।