পিকআপ গাড়ির চাপায় গত সোমবার নিহত হন গৃহবধূ নুরুন্নাহার বেগম (৪০) ও তার ছেলে মোঃ রাকিব (১৬)। স্ত্রী-সন্তান হারানোর শোক সইতে না পেরে সাত দিন পর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন স্বামী মোঃ আবুল কালাম। একই পরিবারের তিনজনের এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আমতলী উপজেলার পশ্চিম চুনাখালী এলাকায় রোববার ভোর রাতে মারা যান আবুল কালাম।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী নুরুন্নাহার ও ছেলে রাকিব মির্জাগঞ্জ দরবারের উদ্দেশ্যে গত সোমবার বাড়ি থেকে রওয়ানা দেয়। ভাই সিদ্দিক পাহলানের বাড়িতে যাওয়ার পথে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পশ্চিম চুনাখালী এলাকায় পিকআপ গাড়ির (চট্টমেট্রো-ন-১১-৯০৬৩) চাপায় পিষ্ট হয়ে স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম ও ছেলে রাকিব নিহত হয়। তাদের হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন কালাম। স্ত্রী-সন্তান নিহতের সাত দিন পর আজ ভোর রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবারে জীবিত এখন একমাত্র কন্যা পারভীন (১৮)। মা-ভাই ও বাবার মৃত্যু শোকে জ্ঞান হারাচ্ছেন বারবার।
প্রতিবেশী মাদরাসা শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, স্ত্রী-পুত্র হারানো শোক সইতে না পেয়ে স্বামী কালাম হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, সাত দিনের মাথায় একই পরিবারে তিনজন মানুষের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মেয়ে পারভীন আক্তার বিলাপ করে বলেন, ‘মোর সবই শ্যায় অইয়্যা গ্যাছে। আলহে বাহে হে আইজ মইর্যা গেছে। মুই কি লইয়্যা থাকমু। আল্লায় মোরে ক্যা নেলে না।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা