বানারীপাড়া-বরিশাল সড়কের গড়িয়ারপাড়ের তেঁতুলতলা নামকস্থানে দুর্জয় নামের যাত্রীবাহী বাস ও থ্রী-হুইলার আলফা (মাহিন্দ্রা) মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত সাত বছরের শিশু তাইয়ুম মারা গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে শুক্রবার রাতে তাইয়ুমের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডিউটিরত পুলিশের এসআই নাজমুল হাসান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সকালের একই দুর্ঘটনায় তাইয়ুমের মা পারভীন বেগম (৩৫) শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত পারভীন বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা এলাকার বাসিন্দা মোখলেস হাওলাদারের স্ত্রী। ওই দূর্ঘটনায় এ পর্যন্ত বিএম কলেজের ছাত্রী, মাহিন্দ্রা চালক, দুই নারী ও শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে। গুরুত্বর আহত হয়ে শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চার যাত্রী।
ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার : বাস ও মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক আব্দুল জলিলকে শুক্রবার রাতে বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিমানবন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, গ্রেফতারকৃত বাস চালক জলিলকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সাথে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ঘাতক বাসের কাগজপত্র বৈধ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওসি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি : বাস ও মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজন নিহতের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা এবং নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহয়তা প্রদান করা হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসক শেবাচিমে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা