২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফুলজোরের বিষাক্ত বর্জ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিবাদ

-


বিষাক্ত বর্জ্যে ফুলজোর নদীতে খাঁচায় মাছচাষ করা খামারিদের প্রায় ১৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের খামারিরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এর আগেও বগুড়া জেলার শেরপুরের ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি ও সচেতন মহল নদী দূষণ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এরপর আবার বুধবার রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন করলেন সচেতন মহল ও ক্ষতিগ্রস্তরা। উপজেলার নলকা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০টি পরিবারের সদস্যরা যোগ দেন।

উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ফুলজোর নদীর পানি গত কয়েক দিন ধরে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। নদীর পানি দূষণের ফলে খাঁচায় চাষকৃত মাছ ও নদীর নানা প্রজাতির জলজপ্রাণী মারা যাচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মৎস্যচাষিদের। পানি দূষণের ফলে পরিবেশ পড়েছে হুমকির মুখে। কারখানার কেমিক্যালের বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে খাঁচা ও নদীর মাছ মরে যাচ্ছে।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ ও আত্মীয়স্বজনদের থেকে ধারদেনা করে আমরা এই ফুলজোড় নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। এই মাছচাষই আমাদের জীবিকার উৎস। কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে আমাদের মাছ মরে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের ক্ষতিপূরণ না দিলে পথে বসতে হবে। তাই নদী দূষণ বন্ধ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি আমরা।

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় সবাইকে নদীতে না নামার জন্য নদীর কিনারে লাল নিশানা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে এবং নদীকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মাইকিং করে এ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মণ্ডল বলেন, বিষাক্ত বর্জ্যে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কথা ভেবে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। বিষাক্ত বর্জ্য থাকায় ফুলজোর ও এর শাখা নদীতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement