রূপগঞ্জে প্রস্তুত সাড়ে ৯ হাজার পশু
- শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
- ০১ জুলাই ২০২২, ০০:০০
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, মুড়াপাড়া, কাঞ্চন, দাউদপুর, ভোলাবো, কায়েতপাড়া ও বাগবেরসহ আশপাশের এলাকার খামারিরা সাড়ে ৯ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন। হরমোন ইনজেকশন ও রাসায়নিক প্রাণঘাতী স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ না করে দেশীয় খাবার খাইয়ে এসব পশু পালন করা হচ্ছে।
উপজেলার দু’টি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে ২৪৮টি খামারে আট হাজার গরু ও কৃষকদের বাড়িতে দেড় হাজার গরু, ছাগল, ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। রূপগঞ্জে চাহিদার চেয়েও বেশি পশু পালন করা হচ্ছে, যা উপজেলার বাইরে সরবরাহ করা হবে। গো-খাদ্যের চড়া দাম ও পশুপালন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুর দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারি ও কৃষকেরা। গত দু’বছর করোনায় লোকসান গুণতে হলেও এবার লাভের আশায় রাত দিন পশু লালন পালন করে আসছেন খামারিরা। তবে ভারত থেকে পশু আমদানি করা হলে খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বাগবের এলাকার আলম এগ্রো ফার্মে কোরবানি উপলক্ষে দুই শতাধিক ষাঁড় প্রস্তুত করা হয়েছে। ফার্মের পশুদের মধ্যে দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, খড় ও ভুষি খাওয়ানো হচ্ছে। তিনি পশুর খাদ্যের জন্য নেপিয়ার ঘাসের চাষও করেছেন। সারা বছরের জন্য কৃষকদের জন্য খড় কিনে গুঁটি দিয়েছেন। ছয়-সাত জন্য কর্মচারী পশুর সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ফার্মে বৈদ্যুতিক পাখায় বাতাস ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে পশুর জন্য দেশীয় খাদ্য সরবরাহ করা হয়। খৈল, কুড়া, চালের খুদ, ছোলা, সয়াবিন, ভুসি, কাঁচা ঘাস, খড় নিয়মিত খাওয়ানো হয়। খামারগুলোতে শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, জার্সিসহ দেশীয় জাতের গরু পালন করা হয়।
বাগবের গ্রামের সামসুল হোসেন মাতবর বলেন, আমাদের চোখের সামনে ইনজেকশন ছাড়া দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন পালন করায় গত আট বছর ধরে আলম এগ্রো ফার্ম থেকে আমি গরু কিনি। আলমপুর, গোবিন্দপুর, বাগবের, গোয়ালপাড়া, ইছাপুরা, দক্ষিণবাগ, গুতিয়াব, মুশুরিসহ আশপাশের অনেকেই এখান থেকে গরু কেনেন।
রূপসী এলাকার নাবিলা এগ্রো ফার্মের মালিক আব্দুল্লাহ খান মুন্না বলেন, পুষ্টিকর কাঁচামাল দিয়ে তৈরিকৃত ক্যাটেল ফিড খাওয়ানো হয়। প্রাণঘাতী কোনো ওষুধ কিংবা ইনজেকশন পশুর দেহে প্রয়োগ করা হয় না। এতে গবাদি পশুর গোশত স্বাস্থ্যকর হয়। এ ছাড়া পশুর মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে না।
পবনকুলের সিয়ান এগ্রো ফার্মের মালিক লায়ন বি এম আতিকুর রহমান বলেন, ছাগল, ভেড়া ও গরু মোটাতাজাকরণে ব্যয় বাড়ছে। ভারতীয় পশুর আমদানি বন্ধ থাকলে আমরা বেশি লাভবান হবো।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রিগ্যান মোল্লা বলেন, এবার খামারিরা খুব যতœশীল। দেশীয় খাদ্যের ওপর তারা নির্ভরশীল। খামারিদের প্রশিক্ষণ, করোনাকালীন প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই পশু পালনে ঝুঁকছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা