২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পদুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নানা সমস্যায় জর্জরিত

জরাজীর্ণ পদুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস : নয়া দিগন্ত -

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নানা সমস্যায় জর্জরিত। অফিসে লোকবল সঙ্কট, স্টাফদের অনুপস্থিতি, ভূমি অফিসের ছাদ-দেয়ালে ফাটল ধরা ও জরাজীর্র্র্র্র্র্র্র্র্র্ণ হয়ে পড়ায় দাফতরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
খাজনা পরিশোধ, নামজারি, জমাভাগ, খতিয়ান সৃজন ও ভূমি সংক্রান্ত কাজে এসে ভুক্তভোগীরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। কর্মকর্তা-কর্র্র্র্র্মচারীরা ঠিকমত অফিসে না আসায় মাস্টার রোলে কর্মরত ব্যক্তিরা দাফতরিক কার্যক্রম দেখাশোনা করছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। মাস্টার রোলে কর্মরত মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, আমার বাবা আকবর আলী ভূমি অফিসের চৌকিদার। অফিসে কর্মকর্তা-কর্র্র্র্র্মচারী সঙ্কট চলছে দীর্ঘদিন। সহকারী তহশিলদারসহ দু’জন স্টাফ আছেন। একজন স্টাফ এলে অন্যজন আসেন না। প্রায় সময় কর্মকর্তা-কর্র্র্র্র্মচারী না আসায় বাধ্য হয়ে আমাকে কাজ দেখতে হয়। অফিস সহায়ক মোহাম্মদ জব্বার বলেন, সহকারী তহশিলদার হিসেবে পদুয়া ভূমি অফিসে মোহাম্মদ রফিক জয়েন করার পর থেকে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে কর্র্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি। পরে অফিসে যোগদান করার পরও তিনি প্রায়ই সময় অসুস্থ থাকেন। যার ফলে দাফতরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পরিদর্র্শন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পদুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জরাজীর্ণ ভবনে চলছে দাফতরিক কার্যক্রম। জমির কাজে আসা মোহাম্মদ রমিজ বলেন, ভবনের চারপাশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পদুয়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা পদুয়া ভূমি অফিসটি ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে। যুদ্ধের একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সৈন্যদের ব্যবহ্নত ভবনটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। দেশ স্বাধীনের পর পরিত্যক্ত ভবনটি মেরামত করে বাংলাদেশ সরকার পদুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম শুরু করে। সেই থেকে ৫১ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সরকারি দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রায় সময় ভবনের দেয়াল ও ছাদের আস্তর খসে পড়ে।
পদুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার মোহাম্মদ রফিক বলেন, অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে অফিসের কার্যক্রম চলছে। নেই ভালো আবাসন ব্যবস্থা। লোকবল, সুপেয় পানি, ওয়াশরুম সবকিছুতেই নাজুক অবস্থ। এ ধরনের পরিবেশে অফিস করা খুবই কষ্টকর। সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement