মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলনেও লোকসান
- এম মনিরুজ্জামান রাজবাড়ী
- ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
পেঁয়াজ উৎপাদনে রাজবাড়ীর অবস্থান তৃতীয়। মাটি ও আবহাওয়ার প্রভাবে এই জেলার পেঁয়াজের মান অনেক ভালো। প্রতি মৌসুমে জেলায় মুড়িকাটা ও হালি এই দুই জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়। এর মধ্যে আগাম জাত মুড়িকাটা। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভালো ফলন হলেও কম দামে লোকসান হচ্ছে চাষিদের।
এ বছর জেলায় পাঁচ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে কিছু পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে। লোকসান থেকে বাঁচতে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।
এ দিকে কৃষি বিভাগ বলছে, পেঁয়াজ চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। অক্টোবরে প্রথম সপ্তাহে রোপণ করা মুড়িকাটা পেঁয়াজ তিন মাসের মধ্যে ঘরে উঠবে। সদর, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় এ জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
উড়াকান্দা এলাকার কৃষক রশিদ মেম্বার বলেন, সব খরচসহ মুড়িকাটা পেঁয়াজ ঘরে ওঠানো পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আর বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ উৎপাদন হবে ৫০ থেকে ৬০ মণ। গত বছর ভালো দাম পেয়েছি।
আলতাফ মণ্ডল বলেন, পেঁয়াজের মণ কম পক্ষে দুই হাজার টাকায় থাকতে হবে। তাহলে কিছুটা লাভ থাকবে। আর কৃষক যখন পেঁয়াজ ঘরে তুলবেন তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে। এতেই কৃষক বাঁচবে। রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক এস এম শহীদ নূর আকবর বলেন, পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়। সেই সাথে কৃষকদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণও দিয়ে থাকি আমরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা