২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পণ্য সেজে ট্রাকে করে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

-

ঈদের ছুটি শেষে ভোগান্তি নিয়েই পণ্য সেজে ট্রাকে করে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাক-মিনি ট্রাকই একমাত্র ভরসা ঢাকামুখী নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের। সরেজমিন বগুড়ার শেরপুরের ধুনট মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকের ভেতর গাদাগাদি করে রোদ-বৃষ্টি ও প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে মানুষ যাচ্ছে কর্মস্থল ঢাকায়। আবার কোথাও কোথাও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাসে চড়ে রওয়ানা হচ্ছে। বিভিন্ন চেকপোস্টে বাস থমিয়ে যাত্রি নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে এসব যাত্রী আরো বিপাকে পড়ছে। ধুনট মোড়ে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছে।
এক দিকে ভোগান্তি অন্য দিকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। যাত্রীরা বলছে, চাকরি বাঁচাতে যেকোনো উপায়ে তাদের ঢাকায় যেতেই হবে। যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ট্রাক-মিনি ট্রাক, প্রাইভেট কার ও মাইক্রো বাসের চাপ রয়েছে ব্যাপক।
যাত্রী আলগর আলী বলেন, গণপরিবহন বন্ধ; কিন্তু চাকরি বাঁচাতে ঢাকা যেতেই হবে। বাধ্য হয়ে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছি। এতে যেমন ভোগান্তি হচ্ছে তেমনি দ্বিগুণ টাকাও গুনতে হচ্ছে। যাত্রী আকলিমা খাতুন বলেন, গার্মেন্টে চাকরি করি সময়মতো না গেলে চাকরি থাকবে না। তাই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ট্রাকে করে যেতে হচ্ছে। খামারকান্দি থেকে ধুনট মোড় থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ট্রাকে ওঠা যাত্রী সুজন মিয়া বলেন, এখন মহাবিপদে পড়ে গেছি। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রাকে উঠে রওয়ানা হচ্ছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যেতে হচ্ছে। করোনার কারণে বাস বন্ধ রেখেছে। কিন্তু ট্রাকে যেভাবে গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে তাতে বাস চালু থাকলেও ভালো হতো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাওয়া যেত। ট্রাকে তো স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ কে এম বানিউল আনাম জানান, বাস আমরা চেকপোস্টে থামিয়ে দিচ্ছি। যাত্রীদের নামিয়ে বাসের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু ট্রাকে হাজার হাজার মানুষ পার হয়ে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement