০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


উৎসবের আমেজে হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু

-

ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে হাওরাঞ্চলে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। মৌসুমের শুরুতে প্রকৃতি বৈরী হয়ে উঠায় আশা-নিরাশার মধ্য দিয়ে নেত্রকোনায় বোরো কাটা শুরু হয়েছে। এক অজানা আশঙ্কা কৃষক-কৃষাণীদের তাড়া করে ফিরছে। তাই নাওয়া-খাওয়ার কথা ভুলে ফসলের মাঠে দিনরাত অবিরত কাজ করছেন তারা।
উদ্বৃত্ত ফসলের জন্য নেত্রকোনার খ্যাতি দেশজুড়েই। চলতি মৌসুমে ধানকাটা শুরুর সাথে সাথে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ভর্তি ধান কুষ্টিয়া, পাবনা, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আর এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী হাওর পাড়ে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে কমদামে ধান ক্রয় করে মুনাফা অর্জন করায় কৃষকরা বরাবরই ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। আর ফসল মার খেলে বছরের খোরাক থেকে যেমন তাদের বঞ্চিত হতে হয় তেমনি মহাজনদের ঋণ পরিশোধ করতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। এই দেনার ভার পরবর্তী বছরে সুদে-আসলে পরিশোধ করতে হয়।
নেত্রকোনা জেলার মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরি উপজেলার বিভিন্ন হাওরাঞ্চলের ফসলের মাঠে কৃষক-কৃষাণীদের এখন ধান কাটা, মাড়াই ও শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ছাড়া কোথাও কৃষি শ্রমিক, কোথাও আবার সরকারের ভর্তুকি দেয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে নেত্রকোনা জেলায় এক লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাওরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত খালিয়াজুরি উপজেলায় ২০ হাজার ১০০ হেক্টর, মদন উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৪০ হেক্টর, মোহনগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার ৪৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় সাত লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৩ মেট্রিক টন। হাওরের কৃষকদের সারা বছরের একমাত্র ফসল এই বোরো ধান। এই বোরো ফসলকে কেন্দ্র করেই কৃষকদের জীবনযাত্রা আবর্তিত হয়ে থাকে। আগাম বন্যা কিংবা শিলাবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিনষ্টের আশঙ্কায় তারা ফসল না উঠা পর্যন্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটান।
এপ্রিলের ১০-১২ তারিখ থেকে হাওরে ব্রি আর ২৮ ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর এখন ব্রি আর ২৯ ধান কাটা চলছে। হাওরাঞ্চলে ধান কাটা শ্রমিকের তীব্র সঙ্কটের কারণে অনেক কৃষক তাদের স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছেলে-মেয়েদেরকেও এই সময় কৃষিকাজে যুক্ত করতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা আরো জানান, ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। সরকার যদি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান খরিদ করত তাহলে হাওরাঞ্চলের কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হতো।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মতো সঠিক পরামর্শ দেয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রকৃতিক দুর্যোগের পরেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী আবদুর রহমান জানান, মহামারী করোনা সঙ্কটকালে হাওরাঞ্চলের কৃষকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধান কাটেন, তার জন্য হাওর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিক সঙ্কট দূর করতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক আনার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। তা ছাড়া কৃষকদের সার্বিক সহায়তার জন্য প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে নৌকাডুবি, ৫০ শরণার্থীর মৃত্যুর ‌শঙ্কা ফিলিপাইনে খরায় জলাধার শুকিয়ে জেগে উঠেছে ৩০০ বছর আগের নগর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আজ প্রবল কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে সাবমেরিন বিধ্বংসী স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের মোস্তাফিজের মেইডেন দিয়ে আলোচনা ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কলম্বিয়ার বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ

সকল