০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


১৩ পদেই জয়ের পথে আ’লীগ অন্য দলের প্রার্থী নেই

-

ফেনীর পরশুরাম পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর পদে বিএনপিসহ অন্য দলের কেউ প্রার্থী না থাকায় সব পদে আ’লীগ প্রার্থীরা ফাঁকা মাঠেই জয়ের পথে। বিগত পৌর নির্বাচনেও মেয়র-কাউন্সিলর ১৩ পদেই এ পৌরসভায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন সরকার দলীয় সব প্রার্থী।
পরশুরাম উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অব্যাহত হুমকির মুখে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কাজী ইউসুফ মাহফুজসহ দলীয় অনেক নেতাকর্মী বাড়িঘর ছাড়া। পরিবারের সদস্যরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে রোববার ফেনী জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বয়কটের ঘোষাণা দেন বিএনপি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরশুরাম পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। রোববার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। জেলা বিএনপির সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে পরশুরাম পৌরসভায় পৌর আহ্বায়ক কাজী ইউসুফ মাহফুজকে শনিবার মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
এর পর থেকে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। নির্বাচনকে ঘিরে বিগত প্রায় দুই মাস যাবৎ সম্ভাব্য মেয়র ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে। ১৬ ডিসেম্বর পরশুরাম শহীদ বেদীতে শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা নিষ্ঠুরভাবে হামলার অভিযোগও করেন তারা। হামলায় উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম, বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল লতিফ সৈকতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার অভিযোগ করেন, সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের প্রতিনিয়ত মহড়ায় এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাদের হুমকির মুখে সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে কেউ সাহস করেনি। প্রার্থী হতে আগ্রহীদের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনেও একই কায়দায় পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর এ ১৩ পদেই অন্যদের প্রার্থী হতে না দিয়ে সরকার দলীয়রা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়। তিনি বিষয়টি পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবীকে অবহিত করেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান।
পরশুরাম আ’লীগের বক্তব্য : সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে তারা এসব অপপ্রচার করছে। মূলত জনসমর্থন না থাকায় নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে অনাগ্রহী। এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী ইউসুফ মাহফুজ ঋণখেলাপি হওয়ায় প্রার্থিতা বাতিল হবে জেনে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। বাড়িঘরে হামলা বা অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয় অসত্য দাবি করে মেয়র সাজেল চৌধুরী বলেন, পরশুরামে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিরাজমান। কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি দলীয় কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়ে এসব কাল্পনিক অভিযোগ করে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement