২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বানিয়াচং ও লাকসামে ১৪ দোকান ও ৩ বসতঘর পুড়ে ছাই

-

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার রাত দেড়টায় বানিয়াচং উপজেলা সদরে অবস্থিত স্থানীয় বড়বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বাজারের পাহাড়াদার সুহেন মিয়া জানান, মুদি ব্যবসায়ী আবু কালাম মিয়ার ঘরে প্রথমে তিনি আগুন দেখতে পেয়ে টহল পুলিশকে ফোনে জানান। খবর পেয় তাৎক্ষণিক বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও বানিয়াচং ফায়ার সাভির্সের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ও নবীগঞ্জের একটি ইউনিট যোগ দিলে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এরই মধ্যে খালেদ মিয়া ও আবুল হোসেনের ফার্মেসি, আলমগীর মিয়া, কালাম মিয়া, সাইফ মিয়া, সুমন মিয়া, দুলাল মিয়া, নাজমুল মিয়া ও মহসিন মিয়ার মুদির দোকান, জাহাঙ্গীর মিয়া, লাল মিয়া ও নাহিদ মিয়ার পানের দোকান, লিটন মিয়ার ডিমের দোকান, আলমগীর মিয়ার একটি গুদামসহ ১৪টি দোকান পুড়ে যায়।
বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। চারটি ইউনিটের ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নিয়ে প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, বড়বাজারের পাহারাদারের মোবাইল ফোন পেয়েই বানিয়াচং, হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে তাৎক্ষণিক থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে চলে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট, পুলিশ ও স্থানীয় জনতার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে আগুনে পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ দিকে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের নোয়াগা গ্রামে এক অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে আট লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের মমতাজ মেম্বার বাড়ির আমির হোসেনের বসতঘরে রাত ৩টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এক কাপড়ে শিশু সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে আমির হোসেন প্রাণে রক্ষা পেলেও আশপাশের তিনটি ঘর পুড়ে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে ঘরে থাকা একটি নতুন ডিসকভার মোটরসাইকেল, নগদ দেড় লাখ টাকা, ফ্রিজ, টিভি, আলমিরাসহ প্রায় আট লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা

সকল