২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনারগাঁওয়ে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে গ্রামবাসীর পাহারা

-

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চুরি ও ডাকাতি ঠেকাতে সাত গ্রামের মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে। মহজমপুর গ্রামে এক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার পর থেকে এলাকায় ডাকাত ও চোরের আতঙ্ক বেড়ে যায়। এরপর থেকে এলাকাবাসী রাতে গ্রাম পাহারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় ডাকাতের আনাগোনা বেড়ে গেলে মহজমপুর ইউনিয়নের মহজমপুর, বশিরগাঁও, উত্তর কাজিপাড়া, সেকেরহাট, চরতালিমাবাদ, দড়িকান্দি, রাজাপুর গ্রামে পাহারা শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্ষা মৌসুম এলেই এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে চুরি ও ডাকাতির আতঙ্ক বেড়ে যায়। নদীঘেঁষে গ্রাম হওয়ার কারণে ডাকাতরা বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে নদী দিয়ে পার হয়ে যায়। টাকা-পয়সা না পেলে অনেক সময় কুপিয়ে আহত করে। তাই এলাকার মানুষ প্রতিদিন রাতে ১৫-২০ জনের দল তৈরি করে লাঠিসোটা নিয়ে পাহারা দিচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, করোনার সময়ে ডাকাত ও চোরের উপদ্রবের পাশাপাশি মাদক কারবারিদের আনাগোনা বেড়েছে। মহজমপুর গ্রামের বিভিন্ন মহল্লা থেকে মাদক কেনা বা সেবনের জন্য এ এলাকায় দিনের বেলায় বহিরাগতদের প্রবেশ বেড়ে গেছে। গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গত ১৯ জুন শহীদুল্লাহ সরকারের সভাপতিত্বে মাদক, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সভা করেন। সভার পর ২৭ জুন সিরাজুল হকের ছেলে মাদক কারবারি মাজহারুল ইসলামকে ইয়াবা বিক্রির সময় ৪৮ পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশে দেন গ্রামবাসী।
বশিরগাঁও গ্রামের মনির হোসেন বলেন, প্রতিদিনই ডাকাতরা এ এলাকায় হানা দেয়ার চেষ্টা করছে। সুযোগ বুঝে টার্গেট করা বাড়িতে ডাকাতি করে থাকে।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আহসান উল্লাহ জানান, চুরি, ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসী পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। এতে ডাকাতি ও চুরি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে আশা করি। তবে দিনের বেলায় বহিরাগত ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement