২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নরসিংদীর লটকন যাচ্ছে সারা দেশে

-

নরসিংদীতে লটকন চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন কৃষকেরা। দিন যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে নতুন নতুন বাগান। এক সময়ে জংলি ফল হিসেবে পরিচিতি এই লটকন এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
লটকনের পুষ্টিগুণ প্রচুর। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘বি-টু’ ও ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। এ ছাড়া ফলটি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহসহ বিভিন্ন খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। মানবদেহে দৈনিক যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সির’ প্রয়োজন হয় মাত্র তিন-চারটি লটকন সে চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।
সরাসরি গাছের কাণ্ড থেকে বের হয় এই লটকন, যার স্থানীয় নাম বুগি। টক আর মিষ্টিতে ভরপুর ফলটি নরসিংদী এলাকার হাজারো চাষির ভাগ্য বদলে দিয়েছে। তাই বাণিজ্যিকভাবে এখানকার কৃষকরা শুরু করেছেন এর আবাদ। এখানে সত্তর দশকে প্রথমে স্বল্প পরিসরে শুরু হয় লটকন চাষ, যা এখন জেলার চারটি উপজেলায় বিস্তৃতি লাভ করেছে।
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে লটকন রোপণের উপযুক্ত সময়। বর্ষার শেষের দিকে মানে ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও লাগানো যায়। লটকনের গাছ ঝোপের মতো হয়ে থাকে। মাঘ-ফাল্গুনে গাছে মুকুল আসা শুরু হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষে লটকন পাকতে থাকে। বেলে ও দো-আঁশ মাটিতে ফলন ভালো হয়। লটকন ফলনে তেমন কোনো খরচ নেই। সময়ে সময়ে একটু পরিচর্যা করতে হয়। গোড়ায় চার দিকে জৈবসার দিলে ফলন ভালো হয়। পিঁপড়া বা পোকামাকড়ের হাত থেকে ফল বাঁচাতে ছত্রাকনাশক দিতে হয়।
নরসিংদী জেলার কৃষি উপপরিচালক শোভন কুমার ধর জানান, এবার জেলায় ১৫৮০ হেক্টর জমিতে লটকন আবাদ হয়েছে। বিশেষ করে জেলার শিবপুর, বেলাব, মনোহরদী ও রায়পুরা উপজেলার সমতল পাহাড়ি এলাকায় লটকন চাষ হয়ে থাকে। এসব এলাকার লাল মাটিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান, তাই এখানে লটকনের ভালো ফলন হয়। আবার চাষিরাও লটকন আবাদে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এ কারণে লটকনের আবাদ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি হেক্টরে ১৫ টন হারে ২৪ হাজার ১৫০ টন লটকনের ফলন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ। আর উৎপাদিত লটকন পাইকারি ৭০ টাকা কেজি দরে যার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
নরসিংদীর লটকন খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় এর কদর রয়েছে। মৌসুমি এ ফলের বেচাকেনাকে ঘিরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরার মরজাল, শিবপুর উপজেলা সদর ও পাশের ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পিরিচকান্দি বাসস্ট্যান্ডে বসছে লটকনের বাজার।
নরসিংদীর জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, লটকন চাষ বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চারা উৎপাদন করাসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া লটকনে রোগ বালাইয়ের তেমন সংক্রমণ না থাকায় উৎপাদন খরচ কম, ফলনও ভালো হয়। বাজারে লটকনের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় লটকনচাষিরাও লাভবান হচ্ছেন। সরকারিভাবে এই ফল দেশের বাইরে রফতানি করতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেক লাভবান হবে বলে মনে করেন সংশ্লিøষ্টরা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন

সকল