২০১৪ সালে মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ ১৭-এর ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত থাকার কথা বার বার সামনে এসেছিল। অনুমান করা হচ্ছিল, পুতিনের নির্দেশে রাশিয়ান মিসাইল দেগে ওই বিমানকে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। তবে জোরাল যুক্তি প্রমাণের অভাবে এই তত্ত্ব তুলে ধরতে পারেননি আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে এই দুর্ঘটনার মামলায় পুতিনের অপরাধী হওয়ার কোনো জোরাল প্রমাণ নেই। তাই তারা এই বিষয়ে আর কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান না। ফলে 'ইতি' ঘটছে তদন্তে। এর আগে, রাশিয়া সাফ জানিয়ে দেয়, মালয়েশিয়ান ওই বিমানের দুর্ঘটনায় তাদের কোনো হাত নেই।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার ওই বিমান দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। ইউক্রেনের ওপর দিয়ে বিমানটি যাওয়ার সময় তার দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এরপর ২০২২ সালে ওই দুর্ঘটনার মামলায় নেদারল্যান্ডসের আদালতে দু'রাশিয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই মামলায় একজন ইউক্রেনের বাসিন্দাকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২০১৪ সালে ওই ঘটনার সময়ই বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নাম উঠে আসে এই বিমান দুর্ঘটনার মামলায়। এদিকে, নেদারল্যান্ডসের কোর্টে যে অভিযুক্তদের দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন রুশ গুপ্তচর রয়েছেন বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়া একজন ইউক্রেনিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও পরিচিত বলে জানা গেছে। অভিযোগ ছিল, রাশিয়ার বাক মিসাইল দিয়ে ওই বিমানকে ধ্বংস করে নামানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের যে দিন এই বিমান ভেঙে পড়ে, সেদিন দোনেৎস্কে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে লড়ছিল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। ক্রিমিয়ার দখলদারি নিয়ে চলেছে বহুকাল ইউক্রেন বনাম রাশিয়ার সংঘাত। এদিকে, সেই সময়কালে যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের বিপক্ষে গিয়েছিল তাদের জোরালো সমর্থন পুতিনের ছিল বলে বহু তথ্য উঠে আসে। এক্ষেত্রে কিছু ফোন কল ট্যাপ করেও পাওয়া যায় তথ্য। দেখা যায়, ফোনে অস্ত্র সামগ্রী নেয়ার ক্ষেত্রে পুতিনের অনুমোদন দাবি করা হচ্ছে। তবে সমস্ত তথ্যের পরও অই বিমান দুর্ঘটনায় পুতিনের সংশ্লিষ্ট থাকার শক্তিশালী তথ্য প্রমাণ মেলেনি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা