তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনযাদার পক্ষ থেকে বিচারপতিদের প্রতি পূর্ণ ইসলামি দণ্ডবিধি আইন প্রয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতিদের এক দলের সাথে সাক্ষাতের পর তিনি এ নির্দেশনা জারি করেছেন। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইট বার্তায় আরো বলেন, ইতোমধ্যে হুদুদ ও কিসাস সংক্রান্ত দণ্ডবিধি আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। সবাই ওই বিধিমালা মানতে বাধ্য থাকবে।
উল্লেখ্য, ইসলামি বিধি মতে হুদুদ দ্বারা এমন অপরাধ উদ্দেশ্য, যার জন্য শাস্তি আবশ্যক। আর কিসাস মানে অপরাধের প্রতিবিধান করা। যেমন, এক ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির চোখ নষ্ট করে দিলো। এক্ষেত্রে কিসাসের অর্থ হবে, দোষী ব্যক্তিরও চোখ নষ্ট করে দেয়া। এভাবে অপরাধের প্রতিবিধানে অপরাধীকে একই শাস্তির মুখোমুখি করার অর্থ কিসাস।
হুদুদের অন্তর্ভুক্ত অপরাধের মধ্যে রয়েছে ব্যভিচার করা, অপবাদ দেয়া, মদ পান করা, চুরি করা, ছিনতাই করা, ডাকাতি করা, রাষ্ট্রদ্রোহী হওয়া ইত্যাদি।
কিসাসের মধ্যে রয়েছে কাউকে হত্যা করা, জেনেশুনে অঙ্গহানি করা ইত্যাদি। তবে কিসাসের ক্ষেত্রে নিপীড়িত ব্যক্তির স্বজনের জন্য বিনিময় নিয়ে কিসাসের দাবি ছেড়ে দেয়ার সুযোগ রয়েছে।
ইসলামি আইনবিদগণ বলেন, হুদুদ প্রমাণের জন্য সুদৃঢ় প্রমাণ আবশ্যক। যেমন, ব্যভিচারের শাস্তি প্রমাণের জন্য অপরাধী নিজে অপরাধ স্বীকার করতে হবে। অথবা চারজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ তার অপরাধ স্বচক্ষে দেখার সাক্ষী দিতে হবে।
ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিভিন্ন অপরাধের জেরে অপরাধীকে চাবুক মারা হচ্ছে। রাষ্ট্রদ্রোহীদেরও জনসম্মুখে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি ডন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা