চীনকে পালটা জবাব দিতে এবার সামরিক মহড়া শুরু করল তাইওয়ানের সেনাবাহিনী। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কীভাবে চীনা হানাদার বাহিনীকে রুখে দেয়া যাবে সেই কৌশল ঝালিয়ে নিতেই এই মহড়া বলে খবর।
এএফপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ান। পরিস্থিতির গুরুত্ব কতটা, তা স্পষ্ট করে ‘লাইভ ফায়ার ড্রিল’ অর্থাৎ আসল গোলা ছুঁড়ে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নিচ্ছে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির গোলন্দাজ বাহিনী।
তাইওয়ানের সেনার অষ্টম আর্মি কোরের মুখপাত্র লউ ওয়েই জাই জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিংটাং প্রদেশে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নেয়া হবে। তাইওয়ানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ৪০টি হাউৎজার কামান ও হাজারেরও বেশি সেনা।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই প্রচণ্ড আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চীন। যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ‘অবরোধ’ করে সামরিক মহড়া শুরু করে তারা। তাইওয়ান প্রণালী ও সংলগ্ন অঞ্চলে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি চালাচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ শুরু হলে হানাদার বাহিনীকে পালটা মার দিতে তৈরি হচ্ছে তাইওয়ানের সেনা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমধ্যম সূত্রে খবর, তাইওয়ানের মোট ছ’টি বড় বন্দরকে নিশানা করছে চীন। রাজধানী তাইপেইয়ের পাশাপাশি উত্তরের কিলুং, পশ্চিমের সুয়াও এবং হুয়ালিয়েন, দক্ষিণ তাইওয়ানের কাওশিয়ুং এবং পূর্বের তাইচুয়াং বন্দর রয়েছে এই তালিকায়। চীনা জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার জেট, টাইপ ০৫-২ডি ডেস্ট্রয়ার গোত্রের যুদ্ধজাহাজ এবং বেশ কিছু ছোট দ্রুতগতিসম্পন্ন কর্ভেট জলযান তাইওয়ানের জলসীমা লাগোয়া এলাকায় কার্যত বেড়াজাল তৈরি করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা