৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


একাই এক কিমি রাস্তা বানিয়ে নায়ক কেনিয়ার নিকোলাস

নিকোলাস মুচামি ও তার তৈরি রাস্তা - ছবি : সংগৃহীত

জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি এলাকা। তার মধ্যে কাগান্দা গ্রাম। সেই গ্রামের মানুষদের বাজার করতে হলে পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে এক কিলোমিটার পেরিয়ে যেতে হয় পাশের গ্রামে। সেই এলাকায় নেই কোনো রাস্তা। তাই গ্রাম থেকে বাজার অবধি রাস্তা তৈরির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দরবার করেছিলেন সে গ্রামের সাধারণ মানুষজন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কোনো বদল ঘটেনি। তাই প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে গ্রামের মানুষের জন্য একার প্রচেষ্টায় রাস্তা তৈরি করেছেন নিকোলাস মুচামি। তার পর থেকেই গ্রামের মানুষের কাছে নায়কের সম্মান পাচ্ছেন তিনি।

পাহাড়ের ধাপে জঙ্গলে মোড়া কাগান্দা গ্রামটি আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়। সেখান থেকেই পাহাড়ের মাটি কেটে, জঙ্গল ছেঁটে কাগান্দা শপিং সেন্টার অবধি পৌঁছার রাস্তা বানিয়েছেন মুচামি। এই রাস্তা তৈরির জন্য সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি কাজ করতেন তিনি। টানা দিন দশেক কাজের পর এই রাস্তা তৈরিতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। রাস্তা তৈরি হওয়ায় বাজার করতে বা চার্চে প্রার্থনার জন্য সহজে পৌঁছে যাচ্ছেন এলাকার মানুষ। সে জন্যই এলাকার মানুষের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন তিনি।

রাস্তা তৈরির কারিগর নিকোলাস মুচামি রাস্তা তৈরির প্রসঙ্গে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনকে এই রাস্তা তৈরি করে দেয়ার জন্য অনেকদিন ধরে বলেছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই আমি চাষের যন্ত্রপাতি দিয়েই রাস্তা তৈরির কাজে নেমে পড়ি। গ্রামের মেয়ে ও শিশুদের কথা ভেবেই এই কাজে নেমেছি আমি।’

আর মুচামিকে প্রাণভরা আশীর্বাদ জানিয়ে গ্রামের প্রবীণ জোশেফিন আইরিমু বলছেন, ‘রাস্তা তৈরি হওয়ায় আমি খুশি। খারাপ রাস্তার জন্য আমার চার্চে যাওয়া বন্ধ হয়েছিল। দু’বছর পর আবার চার্চে যাবো আমি।’ 

মুচামির এই ঘটনা মনে করিয়ে দিলো বিহারের নিমা গ্রামের মহিলাদের প্রয়াসকে। সেখানে প্রশাসনিক অবহেলার প্রতিবাদে গ্রামের মহিলারা জোট বেঁধে তৈরি করেছিলেন প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা। তবে মুচামি কাজটা করেছেন একা।


আরো সংবাদ



premium cement