সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। একই সময় লোডশেডিং শুরু করে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডও (ডেসকো)। কোন এলাকায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকাও প্রকাশ করছে সংস্থা দুটি।
সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার কখন কোন এলাকায় লোডশেডিং, তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি দুটির ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট লিঙ্কে গিয়ে এই তালিকা দেখতে পারবেন গ্রাহকরা।
তবে বিদ্যুতের অন্য চার বিতরণ কোম্পানির মধ্যে নেসকো মঙ্গলবারের তালিকা প্রকাশ করলেও বুধবারের তালিকা এখনো দেয়নি। অন্যদিকে পিডিবি, আরইবি ও ওজোপাডিকো এখন পর্যন্ত তাদের ওয়েবসাইটে কোনো তালিকাই প্রকাশ করেনি।
মহামারীর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেয়ায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ অবস্থা মোকাবিলায় বিদ্যুতের উৎপাদনের সঙ্গে চাহিদার সমন্বয় করতে আজ থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকা এবং সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশে সোমবার থেকেই স্থগিত করা হয়েছে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ ছাড়া এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প। এমন বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি অফিসের সময়সূচি দুই ঘণ্টা কমানোর চিন্তা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখা, আলোকসজ্জা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে সোমবার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
জ্বালানি সঙ্কটের এই সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা দেখলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া শুরু হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা