১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

১৪ এপ্রিল থেকে জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন - ফাইল ছবি

করোনার বিস্তার ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শুক্রবার দুপুরের পর তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকানোর জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।

‘দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে আরো এক সপ্তাহের লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার।’  শুক্রবার সকালে সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে এ কথা জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। 

কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের লকডাউন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণের শেষ অস্ত্র লকডাউনের সুফল পেতে রোগী শনাক্ত, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ রোগ প্রতিরোধের বিজ্ঞানভিত্তিক সব ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার এক বছর পর চলতি মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই কোভিড সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ফেব্রুয়ারিতে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত দুই ভাগ থেকে সংক্রমণ হার লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে এখন ২৩ ভাগ ছাড়িয়েছে। করোনার ধাক্কায় যখন জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ার উপক্রম তখন বছর ঘুরে আবারো লকডাউনে বাংলাদেশ। করোনার নতুন ধরণ বা ভ্যারিয়েন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকার। এতে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানো ও মৃত্যু বাড়ছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের উপসর্গও ভয়াবহ।

দেশে করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণরোধে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৫ এপ্রিল ভোর ছয়টা থেকে থেকে আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। যদিও এর একদিন পরেই সিটি করপোরেশনগুলোতে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয়া হয়। এরপর দোকানপাটও খোলার অনুমতি দেয় সরকার। ফলে চলতি লকডাউন অনেকটা লক খোলা অবস্থায় পতিত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। এ বিতর্কের মধ্যে এবার কঠোর লকডাউন ঘোষণা হলো।


আরো সংবাদ



premium cement