২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ডেঙ্গু থেকে রক্ষায় ডিএনসিসির অভিযান শুরু, সতর্ক ও জরিমানা

ডেঙ্গু থেকে রক্ষায় ডিএনসিসির অভিযান শুরু, সতর্ক ও জরিমানা - সংগৃহীত

ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে মোট আটটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বেশকিছু বাড়ি মালিককে অর্থদণ্ড ও সতর্ক করা হয়।

ডিএনসিসি অঞ্চল-১ (উত্তরা) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন উত্তরা ৬ ও ৮ নম্বর সেক্টরে মোট ১২টি নির্মাণাধীন ভবন, প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে ২টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ডিএনসিসির মশককর্মীরা সেখানে কীটনাশক প্রয়োগ করে তা ধ্বংস করে। তবে মালিকরা ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো সচেতন থাকবেন মর্মে অঙ্গীকার করায় কোনো জরিমানা করা হয়নি।

এছাড়া মালিক ও কেয়ারটেকারবিহীন একটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সে বাসায় নোটিস প্রদান করা হয়।

অঞ্চল-২ (মিরপুর-২)-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজম মিরপুরে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ১৯টি ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। এছাড়া আরো চারটি স্থাপনার মালিককে নোটিস প্রদান করা হয়।

অঞ্চল-৩ (মহাখালী) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান তেজগাঁও শিল্প এলাকায় মোট ১৫টি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ থাকায় সেগুলো পরিষ্কারের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়।

অঞ্চল-৪ (মিরপুর) মিরপুরের বড়বাগ, মনিপুর, পীরেরবাগ, সেনপাড়া পর্বতা, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, কচুক্ষেত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুর্শিদুল ইসলাম। এ সময় প্রায় ১০০ বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি।

অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুদ হোসেন পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ৫টি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করা হয়। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ডম-ইনোর নির্মাণাধীন একটি ভবনে খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করায় নিয়মিত মামলার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর একই প্রতিষ্ঠানকে তিনবার জরিমানা করা হয়েছিলো। এছাড়া অপর একটি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট কোংকে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অঞ্চল-৬ (হরিরামপুর) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ৭টি ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি। অভিযান চলাকালে রাস্তায় ফেলে রাখা ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত পাত্র ও বিভিন্ন দোকানের সামনে জমা পানি অপসারণ করে তাদেরকে সতর্ক করা হয়।

ডিএনসিসি অঞ্চল-৭ ও ৮ (উত্তরখান ও দক্ষিণখান) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবেদ আলী উত্তরখানের মাজার রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে কোনো এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীকে এ বিষয়ে সচেতন করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসলিনা পারভীন মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নির্মাণাধীন তিনটি ভবন পরিদর্শন করে দুটিতে এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ৫ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান চলাকালে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement