২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ব্রাজিল কেন ফুটবলে সেরা

-

আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম রাষ্ট্র আর দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র ব্রাজিল। ব্রাজিল এমন একটি দেশ যা অনেক দিক দিয়েই বিশ্বে অন্যতম। কিন্তু ফুটবল তাদেরকে নিয়ে গেছে অন্য একটি উচ্চ আসনে।
পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে বলা হয়ে থাকে ফুটবল আবিষ্কার করেছে ইংল্যান্ড আর পরিপূর্ণতা দিয়েছে ব্রাজিল।
বিভিন্ন দিক দিয়ে ব্রাজিল বিশ্বে সব দেশ থেকে আলাদা ও সেরা। ব্রাজিল ফুটবল দলকে পরিচালনা করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল করপোরেশন বা সিবিএফ। ১৯২৩ সালে ব্রাজিল ফিফার সদস্য হয়। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলকে সবচেয়ে সফল দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বেশির ভাগ সময় ব্রাজিল ফিফা র্যাংকিংয়ে প্রথম অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। ফিফার ইতিহাসে ব্রাজিল এ পর্যন্ত পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭৪, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে তারা ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ জিতেছিল। বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড। এখন পর্যন্ত ব্রাজিলই একমাত্র দল যারা বিশ্বকাপের সব আসরেই অংশগ্রহণ করেছে। আর তাই গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও ব্রাজিলের। দলটি ৭০টি বিশ্বকাপ ম্যাচ জয় করেছে। কোনো পরাজয় ছাড়া টানা ১৩টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলা দলও ব্রাজিল। তারা বিশ্বকাপে মোট ১৬টি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলেছে। তবে এক পর্বে ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হয়ে যাওয়ারও রেকর্ডও আছে তাদের। ১৯৬২ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১৯৬৬ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হয়ে গিয়েছিল এই দলটি।
টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অন্তত একটি করে গোল করার রেকর্ড ব্রাজিলের। তারা গোল বঞ্চিত হয়নি টানা ১৮টি বিশ্বকাপ ম্যাচ। বিশ্বকাপ ম্যাচের অন্তত একটি করে সবচেয়ে ম্যাচে টানা গোল করে রেকর্ড করা খোলায়াড়টিও ব্রাজিলের। খেলোয়াড়টির নাম রোনালদো। তিনি টানা ১১ ম্যাচে গোল করে এ রেকর্ডটি করেছেন। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি জোড়া গোল করার রেকর্ডও রোনালদোর। তিনি চারটি ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন।
তিনটি বিশ্বকাপে ফাইনাল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মাত্র তিনজন খেলোয়াড়ের তারা হলেনÑ ব্রাজিলের পেলে, কাফু ও রোনালদো। তাদের মধ্যে পেলের রেকর্ডটি সবচেয়ে সেরা। তিনিই একমাত্র তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়। এ ছাড়া বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ও সবচেয়ে কম বয়সী হ্যাটট্রিক করা খেলোয়াড়ও পেলে। ফ্রান্সের সাথে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে মাত্র ১৭ বছর ৮ মাস বয়সে এ রেকর্ডটি করেন তিনি। ১৯৬৯ সালে নাইজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে নিজের ক্লাব ‘সান্তোস’এর সাথে নাইজেরিয়া যান পেলে। শুধু পেলেকে দেখার জন্য নাইজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধে লিপ্ত দলগুলো ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল ব্রাজিলের। ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি গোল করেছিল তারা। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ তিনটি করে গোল করেছেন ব্রাজিলের পেলে ও ভাভা। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ফাইনালে অংশগ্রহণ ও শিরোপাজয়ী খেলোয়াড়ও ব্রাজিলের মারিও জাগালোর। ব্রাজিলের এই খেলোয়াড় ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০ খেলোয়ার হিসেবে এবং ১৯৭৪ ও ১৯৯৮ সালে কোচ হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
অতীতে কোনো দল পরপর তিনবার বিশ্বকাপ জিতলে তাদেরকে বিশ্বকাপটি স্থায়ীভাবে দিয়ে দেয়া হতো। সে অনুযায়ী বিশ্বকাপ ট্রফিটি ব্রাজিলকে দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন থেকে সে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায়। বর্তমান ব্রাজিল ফেডারেশনে যে জুলে রিমে ট্রফিটি রয়েছে সেটি মূলত স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা একটি নকল ট্রফি। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাত ১১টার মধ্যে রাস্তার পাশের চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া কি হোঁচট খেল? ফেনীতে শিবিরের পানি-স্যালাইন বিতরণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পিসিবির প্রস্তাবিত ৩ ভেন্যু চকরিয়ায় বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা গাজীপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আল্লামা জুলকারনাইনের ইন্তেকাল ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে ‘মিথ্যাচার’ : যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা উপজেলা নির্বাচন : কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় আরিয়ান মুন্নার নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

সকল