২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণধর্ষণের পর অপবাদ : গৃহবধূর আত্মহত্যা!

গণধর্ষণের পর অপবাদ : গৃহবধূর আত্মহত্যা! - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজধানীর দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকায় গণধর্ষণের অপবাদ সইতে না পেরে ফাতেমা বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্বামী সোহেল শেখের দাবি করেছেন। পুলিশ বলছেন ঘটনাটি রহস্যজনক।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ ফাতেমার স্বামী সোহেল শেখের বরাত দিয়ে জানায়, তাদের বাসা দক্ষিণখান ফায়দাবাদ ছাপড়া মসজিদ এলাকায়। ফাতেমার সঙ্গে এটি তার তৃতীয় বিয়ে। গত জুন মাসে ফাতেমাকে বিয়ে করেছেন তিনি। আর ফাতেমার এটা দ্বিতীয় বিয়ে।

তিনি জানান, তার প্রথম বউয়ের সঙ্গে সোহেলের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয় বউ গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় তাদের বাড়িওয়ালা আলী আহমদ, রানা, আলমগীর, নাজমুলসহ চারজন মিলে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ভয়ে তার স্ত্রী ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বলেননি। চলতি মাসে তিনি জানতে পারেন। গত ৪ অক্টোবর দক্ষিণখান থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলায় আলী আহমেদ ও রানা কারাগারে আছে। গত দু'দিন আগে মামলা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। কেন ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে, তা সুস্পষ্টভাবে বলতে পারেননি সোহেল।

দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নুল আবেদীন জানান, সন্ধ্যায় বাসায় এসে সোহেল ফাতেমাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তিনি জানান, মামলার ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। গত পরশু দিনও তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ কারণেই ফাতেমা আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

ফাতেমা গত জুনে গণধর্ষণের শিকার হন। গত ৪ অক্টোবর তিনি নিজে থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় দুই আসামি কারাগারে আছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement