০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মালয়েশিয়ায় বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন লাখো অনিয়মিত বাংলাদেশী

মালয়েশিয়ায় বৈধতার সুযোগ পাচ্ছেন লাখো অনিয়মিত বাংলাদেশী - ছবি : নয়া দিগন্ত

২০১৬ সালে কয়েকলাখ বাংলাদেশী প্রবাসী মাইইজি রিহায়ারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশটিতে বৈধতা গ্রহণ করেন। তারপর প্রতিবছর ভিসা নবায়ণ করতে পারলেও ২০২৩-এ এসে ভিসা নবায়ন বন্ধ করে দেয় সরকার। বিপাকে পড়েন কয়েকলাখ প্রবাসী।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সেলাঙ্গর স্টেট (শাহ আলম) ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম ২ দশমকি ০ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন।

এবার অনিয়মিত ওই প্রবাসীরা বৈধতা গ্রহণের সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এর একটি অংশ রিক্যালিব্রেশনের মাধ্যমে ভিসা পেলেও বড় একটা অংশ এখনো ভিসা পাননি।

তারা আরটিকে ২ দশমিক ০ প্রোগ্রামে ভিসা পাওয়ার আশায় নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে সরকার ভিসা প্রদানের জন্য সম্মত হওয়ায় প্রনাসীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। বিষয়টি নিয়ে এতোদিন প্রবাসীরা অনিশ্চিয়তার মাঝে ছিলেন। এবার সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসায় তারা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।

মালয়েশিায়ায় অমিয়মিত অভিবাসীদের এই বৈধতার প্রোগ্রাম শেষ হবে আগামি ৩০ জুন। আরটিকে ২ দশমিক ০ কর্মসূচির অধীনে ২০২৩-এর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈধ হতে যারা নাম নিবন্ধন করেছেন তাদের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ। এরপর ৩০ জুনের মধ্যে ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২ দশমিক ০) কর্মসূচির অধীনে অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেস) প্রদান করা হবে।

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব, দাতুক হাজী রুজি বিন হাজী উবি, ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক, রুসলিন বিন জুসোহ, ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অব ইমিগ্রেশন (নিয়ন্ত্রণ) কেন লেবেন ও এবং সেলাঙ্গর স্টেট ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর, তুয়ান খাইরুল আমিনুস বিন কামারউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশটির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সরকারের দেওয়া ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২ দশমিক ০) কর্মসূচির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলে পুরো এক বছর। এ নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রায় সাত লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী আবেদন করেছেন। আরটিকে ২ দশমিক ০ কর্মসূচিতে কতজন বাংলাদেশী আবেদন করেছেন তা জানা যায়নি। তবে মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়স্থানে থাকলেও রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ার আওতায় প্রথম স্থানে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।

যারা মাইইজিতে বৈধতা গ্রহনের পর ৫ নম্বর ভিসা পেয়েছেম কিন্ত ৬ নম্বর কিংবা ৭ নম্বর ভিসা পাননি তারাও পূনরায় মাইইজির মাধ্যমে ভিসা নবায়ণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।


আরো সংবাদ



premium cement