০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৬ মাস কাজ না পাওয়া ২১ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ

৬ মাস কাজ না পাওয়া ২১ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ - নয়া দিগন্ত

কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ, বেতন ও খাবার না পেয়ে অসংখ্য বাংলাদেশী কর্মী মানবেতর জীবনযাপনের একাধিক খবর পাওয়া যাচ্ছে। সহায়-সম্বল খুইয়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায় বৈধপন্থায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে টানা ৬ মাস কাজ, বেতন, পর্যাপ্ত খাবার ও চিকিৎসা না দিয়ে নিয়োগকর্তা জোর করে শ্রমিকদের অবরুদ্ধ করে রাখছে। তাদের উপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বন্দরনগরী কেলাং প্রদেশ থেকে এই রকম একটি অভিযোগ পায় দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ বিভাগ। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থেলে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিকভাবে ইমিগ্রেশন পুলিশ এর সত্যতা পায়। এ সময় ২১ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম)। তবে ওই ২১ বাংলাদেশী শ্রমিক কোন কোম্পানির অধীনে কাজ নিয়ে মালয়েশিয়ায় এসেছেন এবং শ্রমিকদের নাম পরিচয় বিস্তারিত প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শোষণের শিকার ওই ২১ বাংলাদেশী শ্রমিকদের সবার কাছে বৈধ ওয়ার্ক পারমিট, কাগজ-পত্র ও ট্রাভেল ডকুমেন্টস রয়েছে। কিন্তু তাদের সবার পাসপোর্ট নিয়োগকর্তার কাছে জমা থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এই অভিযোগটি হিউম্যান ট্রাফিকিং বা মানবপাচারবিরোধী আইনের ধারায় মামলা দায়েরপূর্বক অভিযোগ গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যথাযত তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ২১ বাংলাদেশী শ্রমিককে পুত্রাজায়ায় ইমিগ্রেশন সদর দফতরে নেয়া হয়েছে। তবে তাদেরকে আটক বা সেইফ হোমে নেয়া হবে কি না এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন যে- তারা কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া আসার পর ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো কাজ দেয়নি নিয়োগকর্তা। এমনকি তাদের বেতন, খাবার খরচসহ অন্যন্যা সুযোগ-সুবিধাও দেয়া হচ্ছে না। এজন্য তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে যে সমস্ত নিয়োগকর্তা শ্রমিক এনে কাজ দিতে পারছেন না তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ দেশটির প্রচলিত আইনে ব্যাবস্থা নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগ আরো জানায়, শ্রমিক এনে কাজ না দিতে পারলে এই অপরাধের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সন অ্যান্ড অ্যান্টি-স্মগলিং অফ মাইগ্রেন্ট অ্যাক্ট (ATIPSOM) 2007 (ACT 670) -এর অধীনে অভিযোগ গঠন করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement