ছোট ছোট শক্তিশালী কিছু কথা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে আর এ অনুপ্রেরণাই মানুষকে ইতিবাচক পরিবর্তনে উৎসাহিত করে। মানুষের ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমেই সমাজ পরিবর্তন সম্ভব। এ ধারণা নিয়েই ব্রিটেনের একঝাঁক তরুণ প্রফেশনাল শুরু করেছেন প্রজন্ম টক নামে আইডিয়া শেয়ারিংয়ের একটি প্ল্যাটফর্ম। তাদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইস্ট লন্ডন ইউনিভার্সিটির হাভার্ড লেকচার থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রজন্ম টকের প্রথম আয়োজন।
মুহাম্মদ সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রজন্ম টকের প্রথম আলোচনায় ‘চিন্তনার রূপান্তর ও উদ্ভাবনী হওয়া’র উপর বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার সায়েম খন্দকার। একাডেমিক ও গবেষক জাহারা কাদির টেক্সটাইল শিল্পকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন ‘একটি ছোট কর্ম কিভাবে অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে’ এ বিষয়ের উপর।
‘সবাইকে নিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ’ শীর্ষক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্যারিস্টার আব্বাস আই খান সবার জন্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া ব্যারিস্টার সানি এ হক ‘মানবতা মানুষের জন্যে’ এ বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন। এডভোকেট শাইখ মাহ্দী ‘রাজনৈতিক হয়ে উঠার উপর’ বক্তব্যে বলেন, নিজের শত্রু ও মিত্রকে চিনতে পারার নামই রাজনৈতিক হয়ে উঠা। এছাড়া ব্যারিস্টার সৈয়দ টি হাসান ‘দ্বন্দ্ব কে না বলুন, বিরোধকে হ্যাঁ বলুন’ বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘প্রজন্ম টক’র পরিচিতি ও ভবিষ্যত কর্মপন্থা বর্ননা করা হয়। সেখানে বলা হয়, একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরণের নতুন নতুন আইডিয়া শেয়ার করার একটি প্ল্যাটফর্ম হবে প্রজন্ম টক। প্রজন্ম টক মনে করে যাদের কাছে ভিন্ন ও অনন্য ধরণের আইডিয়া রয়েছে, তাদের সেসব আইডিয়া নিয়ে মানুষের মাঝে কথা বলা দরকার। ছোট ছোট শক্তিশালী কথাগুলো অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এবং এসব অনুপ্রেরণা মানুষকে ইতিবাচক পরিবর্তনে উৎসাহিত করে। প্রজন্ম টক সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে info@projonmotalk.com ঠিকানায় ইমেইল করা যাবে। এছাড়া প্রজন্ম টকের ফেইসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা