২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মার্কিন বাহিনীতে পকেট ড্রোন!

মার্কিন বাহিনীতে পকেট ড্রোন! - ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানে পাঠানো কিছু মার্কিন সেনাবাহিনীকে একটি পকেট সাইজের নজরদারি ড্রোন দেয়া হবে। যাকে বলা হয় ‘ব্ল্যাক হর্নেট পার্সোনাল রেকনায়শান্স সিস্টেম’। আফগানিস্তানে এই ড্রোনগুলো মোতায়েনের মাধ্যমে ৮২তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের ৫০৮তম প্যারাশুট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়ন এটা পরীক্ষা করে দেখবে যে, কীভাবে এই ড্রোনগুলোর ব্যবহার করা যায়। ‘স্টার্স অ্যান্ড স্ট্রাইপস’-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে, সেই দিন বেশি দূরে নেই, যেদিন সব সেনাসদস্যের সঙ্গেই এই মিনি ড্রোন থাকবে।

এই ড্রোনটির ডিজাইন করেছে ওরিগন-ভিত্তিক এফএলআইআর সিস্টেমস। ছয় ইঞ্চি লম্বা এই ড্রোনের ওজন মাত্র ৩৩ গ্রাম। প্রতিটি ড্রোনের দুটি ক্যামেরা এবং থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা রয়েছে। এই ড্রোনগুলো অপারেটরের কাছ থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত জায়গা পরীক্ষা করতে পারে এবং এক নাগাড়ে ২৫ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে। এই সময়টাতে ড্রোনগুলো অপারেটরের কাছে ছবি পাঠাতে পারে। এই ড্রোনগুলো লুকিয়ে থাকা শত্রু ও বিস্ফোরক চিহ্নিত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। সার্জেন্ট রায়ান সুবার্স নামে এক সেনাসদস্য বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ধরনের প্রযুক্তি আমাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করবে, কারণ এটা আমাদেরকে বিপদ থেকে সতর্ক করবে এবং আমাদের নিজেদের মিশন কার্যকর করতে সাহায্য করবে।’

২০১৬ সাল থেকে আমেরিকা তাদের বিশেষ বাহিনীতে ব্ল্যাক হর্নেটের পরীক্ষা শুরু করেছে । এবং ফরাসি ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীও এফএলআইআর-এর কাছ থেকে এই ড্রোন কিনেছে। মাত্র দু’মিনিটেই একজন সেনাসদস্য বুঝতে পারবেন কীভাবে এটা চালাতে হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যেই একজন ইন্সট্রাক্টর এটা পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। এতে ওয়্যারলেস কমান্ড এনক্রিপ্ট করা আছে বলে এটা হ্যাক করাও যাবে না। গত বছর মার্কিন সেনাবাহিনী এফএলআইআরের সঙ্গে ২.৬ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেনাবাহিনীর সোলজার বর্ন সেন্সর কর্মসূচিতে এই ড্রোন সরবরাহের জন্য ৪০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে তারা। এর অর্থ হল, ৯০০০ সিস্টেম কিনবে মার্কিন সেনাবাহিনী। প্রতিটি সিস্টেমে দু’টি করে ড্রোন রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement