২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘পাতানো ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প’

‘পাতানো ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প’ - সংগৃহীত

কিছু সুনির্দিষ্ট দেশ ইরানের তেলের ঘাটতি পূরণ করে দেবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আশা করেছেন তাকে ‘ভুল’ উল্লেখ করে তেহরান বলেছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওইসব দেশের পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছেন।

তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা- ওপেকে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি হোসেইন কাজেমপুর নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত আমেরিকার জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নিয়ে ঘোষণা করেছেন, আগামী নভেম্বর নাগাদ তেহরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে। তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের তেল বিক্রি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। ইরানের তেলের সম্ভাব্য ঘাটতি রোধ করতে ট্রাম্প সৌদি আরবসহ আরো কিছু দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এ সম্পর্কে কাজেমপুর আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হলে শেষ পর্যন্ত তাতে বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইরানের তেলের ঘাটতি পূরণ করার সামর্থ্য অবশিষ্ট তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর নেই।

কাজেমপুর বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়া দৈনিক ইরানের আড়াই লাখ ব্যারেল তেলের ঘাটতি পূরণ করবে বলে আমেরিকা আশা করছে। কিন্তু এটি একটি ‘ভুল হিসাব’। মিস্টার ট্রাম্প: আপনি তাদের পাতানো ফাঁদে পড়েছেন এবং এর ফলে তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে বলেছে, সৌদি আরবের পক্ষে দৈনিক আড়াই লাখ ব্যারেল তেলের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়। যদি রিয়াদ সে সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিরিক্ত তেল উত্তোলন শুরু করে তাহলেও দেশটি দীর্ঘ মেয়াদে এ কাজ অব্যাহত রাখতে পারবে না।

রানিকে এভাবে অপদস্থ করলেন ট্রাম্প!

সাধারণত অন্যদেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ব্রিটেন সফরে গেল অবশ্যই রানী এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ ব্রিটেনের রানি বলে কথা৷ নির্দিষ্ট রাজকীয় নিয়ম বা প্রটোকল মেনে তবেই যেকোনো রাষ্ট্রপ্রধান রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ কিন্তু সেই রাষ্ট্রপ্রধান যদি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে কোনো নিময় বা প্রটোকলই যে গ্রাহ্য হবে না তা সর্বজনবিদিত৷ সমস্ত নিয়ম ভেঙে, বিতর্কের মধ্যে থাকাই যার একমাত্র লক্ষ্য, এবারেও তার অন্যথা হতে দিলেন না ট্রাম্প৷

চার দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া৷ শুক্রবার উইন্ডসোর ক্যাসেলে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তারা৷ তবে সাক্ষাৎপর্বের শুরু থেকেই নিময় বিরুদ্ধ কাজ করতে শুরু করেন একরোখা মেজাজের ট্রাম্প৷ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রবল গরমের মধ্যে ৯২ বছরের রানি এলিজাবেথকে ঠাঁয় দাঁড় করিয়ে রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

জানা গেছে, ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানানোর জন্য একটি ছাতার তলায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রিটেনের রানি৷ প্রায় ১০ মিনিট দেড়িতে কালো রেঞ্জ রোভার গাড়ি চড়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া৷

এখানেই শেষ নয়, উইন্ডসোর ক্যাসেলের বিশেষ সেনা বাহিনীর সঙ্গে পরিচয় পর্বেও নিজের বিতর্কিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট বজায় রাখেন ট্রাম্প৷ একসঙ্গে হাঁটার বদলে বেশিরভাগ সময়টাই তাকে দেখা গিয়েছে রানি এলিজাবেথ ও মেলানিয়ার থেকে দু’কদম করে এগিয়ে থাকতে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কার্যত তুলোধনা করেছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম৷

কেবল রানির সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে বিতর্ক সৃষ্টি করেই থেমে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি করেন আরো ভয়ঙ্কর কাজ। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের বিখ্যাত আরামকেদারায় বসে ছবি তোলেন তিনি৷ যা নিয়ে, ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটেনের বহু রাজনীতিবিদ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর ঘিরে প্রথম থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ব্রিটেন৷

একাধিক স্থানে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন৷ যা প্রতিহত করতে হচ্ছে প্রশাসনকে৷ এই বিক্ষোভ আরো তীব্রতর হয়েছে পরলোকগত প্রিন্সেস ডায়না ও বর্তমান প্রিন্সেস কেট সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টে করা কিছু কুরুচিকর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই৷


আরো সংবাদ



premium cement