২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইদলিবে সেনা মোতায়েনের কারণ জানিয়েছে তুরস্ক

ইদলিবে সেনা মোতায়েনের কারণ জানিয়েছে তুরস্ক - সংগৃহীত

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসী আকার বলেন, ইদলিবে যেকোনো প্রকারের সেনা আক্রমণ শহরটিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে। তুরস্ক সিরিয়ার যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহর ইদলিবে যুদ্ধ করার বদলে সেবা দেয়ার জন্য সেনা পাঠিয়েছে।

তুরস্ক সিরিয়ার সন্ত্রাসী অধ্যুষিত অঞ্চল ইদলিবে তুর্কি উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্য সেখানে সেনা বাহিনীর একটি বহর পাঠিয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার সম্প্রতি ইদলিবে যেকোনো প্রকার সেনা আক্রমণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার পর পরেই অঞ্চলটিতে তার দেশের সেনা মোতায়েন করেছে।

হুলুসি আকার বুধবার তুরস্কে কর্মরত বিভিন্ন দেশের বিদেশি কূটনৈতিকদের সাথে এক বৈঠক চলাকালে বলেন, ইদলিবে যে কোনো প্রকার সেনা আক্রমণ হলে শহরটিতে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। ইদলিবকে মানবিক বিপর্যয়ের মত বিয়োগান্তক ঘটনা থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা রাশিয়া, ইরান এবং অন্যান্য মিত্রদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ইদলিবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই এবং শহরটিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাই।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা Syrian Observatory for Human Rights এক প্রতিবেদনে জানায়, ইদলিবের কেফার লুসিন নামক স্থান দিয়ে শহরটির উত্তরাঞ্চল সীমান্ত অতিক্রম করে তুর্কি সেনাদের একটি বহর প্রবেশ করেছে। তারা সেখানে ইদলিবের বিভিন্ন স্থানে আগে থেকেই অবস্থান করা তুর্কি সেনাবাহিনীর ১২ ঘাঁটিতে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে চলে যায়।

সিরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী আরেকটি সংস্থা একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যায় যে, সশস্ত্র কয়েকটি সেনা যান এবং ট্যাঙ্ক ইদলিবের রাস্তা অতিক্রম করছে। তবে আঙ্কারা এই বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

গত বছর রাশিয়া এবং ইরানের সাথে কৃত চুক্তি অনুযায়ী ইদলিবের সংঘাত পূর্ণ অঞ্চলগুলোতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য আঙ্কারা সেখানে সেনা প্রেরণ করেছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সিরিয়ার সরকার ইদলিবে বিপুল আকারে সেনা মোতায়েন করেছে এবং ইতিমধ্যেই তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ করে ব্যাপক বোমা বর্ষণ করেছে। তবে সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টা ধরে বোমা বর্ষণ স্থগিত রয়েছে যাতে করে অনেকে মনে করছেন সরকারি বাহিনী এবার স্থল যুদ্ধ শুরু করবে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে প্রকাশিত এক লেখায় বলেন, ইদলিবে সেনা হামলার ফলে কোনো ধরণের মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হলে এর দায়ভার পুরো বিশ্বকে নিতে হবে। ইদলিবে যেকোনো ধরণের মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে বিশ্ব সমাজের চিন্তা করা উচিত। আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহকে তাদের দায়ভার সম্পর্কে বোঝা উচিত।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র তার চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী ইদলিবে মানবাধিকার বিপর্যয়ের দায়ভার মস্কোকে বহন করতে হবে বলে হুমকি দেয়।চলতি বছরের আগষ্ট মাসে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই লাভরভের সাথে এক বৈঠক কালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইদলিবে যেকোনো ধরণের সেনা আক্রমণ হলে তা শুধুমাত্র শহরটিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে না বরং তা সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্যও মারাত্মক হুমকি ডেকে আনবে।


আরো সংবাদ



premium cement