২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোলাপগঞ্জে উদ্ধার লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে : শাশুড়ি ও ভায়রা আটক

-

সিলেটের গোলাপগঞ্জে উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউপির গোরকপুর গ্রামে। তিনি ফয়জুর রহমানের ছেলে মুহিবুর রহমান (৫০)।

গত ৮ অক্টোবর উপজেলাপর ভাঘা ইউপির রস্তুমপুর এলাকার হাবিব মেম্বারের বাড়ির পাশে সেতুর নিচে মুহিবুর রহমানকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে এবং লাশের কোন পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ মুহিবুর রহমানের সুরতহাল শেষে সিলেট শহরের মানিকপীর টিলায় বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করে।

নিহত মুহিবুর রহমানের ভাই শাহাব উদ্দিন লাশের ছবি দেখে তার ভাই বলে শনাক্ত করে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

নিহতের ভাই শাহাব উদ্দিন পুলিশকে জানান, তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ এরই সূত্র ধরে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃতদের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার দলকিরিয়া গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন। আটক রিয়াজ উদ্দিন সিলেট শহরের শাহপরাণ এলাকায় বসবাস করতেন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। অপর আসামিকে গত রোববার অনুমান সন্ধ্যা ৭টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার নিজ বাউরভাগ গ্রাম থেকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আসামি রইছ উদ্দিনের স্ত্রী ও নিহত মুহিবুর রহানের শাশুড়ি পিয়ারা বেগম সালেহা (৬৫)।

আটককৃতদের গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এসআই মুহিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।

উল্লেখ, নিহত মুহিবুর রহমান ৪ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে সিলেট শহরে বায়রা রিয়াজ উদ্দিনের বাসায় যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন। সে থেকে মুহিবুর রহমান বাড়িতে ফেরেননি। নিহতের পরিবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ উল্লেখযোগ্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ৪ অক্টোবর কানাইঘাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন নিহতের ভাই শাহাব উদ্দিন।

গত ৮ অক্টোবর সোমবার গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউপির রস্তুমপুর এলাকার হাবিব মেম্বারের বাড়ির পাশে একটি ব্রিজের নিচে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং সুরতহাল শেষে লাশের পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ সিলেট শহরের মানিকপীর টিলায় বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করেন।

নিহতের ভাই শাহাব উদ্দিন অজ্ঞাতনামার লাশ পাওয়া গেছে মর্মে সংবাদ পেয়ে গত রোবার গোলাপগঞ্জ থানায় আসেন এবং লাশের ছবি দেখে তার সহোদর মাওলানা মুহিবুর রহমান বলে সনাক্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement