সাত ধাপে শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়েছে। এতে বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে আবারো দিল্লি দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এই নির্বাচন আর ফলাফলকে কিভাবে দেখছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি? তিনি কয়েকদিন আগে দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তথা নির্বাচন কমিশনারদের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘যদি গণতন্ত্র সফল হয়ে থাকে, তার বড় কারণ হল সুকুমার সেন থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারদের সঠিক ভোট পরিচালনা।’
বিরোধীরা যখন এ বারের ভোটে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন বাবুল সুপ্রিয়-সহ বিজেপি’র নেতারা আজ সেই মন্তব্যকে অস্ত্র করেন। সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ভোটপ্রচার এক দিন আগেই বন্ধ করে দিয়েছিল কমিশন। কমিশনের এই সাংবিধানিক ক্ষমতার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন প্রণব। সব মিলিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কংগ্রেসকে। দলের নেতা রাজীব শুক্ল আজ বলেন, ‘প্রণববাবু সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজের মত জানিয়েছেন।’
তবে এখন আগের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন প্রণব। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ভোটারদের রায়ে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে খবরে আমি উদ্বিগ্ন। ইভিএমের নিরাপত্তা কমিশনের দায়িত্ব। গণতন্ত্রের ভিতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, এমন কোনও জল্পনাকে জায়গা দেওয়া উচিত নয়। জনগণের রায় সমস্ত সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব এক্ষেত্রে কমিশনের উপরেই বর্তায়। তাদের অবশ্যই তা করতে হবে।’
ঘটনাচক্রে এই বিবৃতি যখন প্রকাশিত হয়, তখন বিরোধী দলের নেতারা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে। ডেরেক ও’ব্রায়েনরা বিবৃতিটি কমিশনারদের পড়ে শোনান। জবাবে অবশ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বাক্য ব্যয় করেননি বলে সূত্রের খবর। পরে কমিশন বিবৃতি দিয়ে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ খারিজ করে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, প্রণবের দু’দিনের মন্তব্য কি পরস্পরবিরোধী নয়? প্রণব কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে সোমবার বলেছিলেন, খারাপ কর্মীরাই যন্ত্রপাতি নিয়ে নালিশ করে। আর আজ বলেছেন, ‘কর্মীরাই ঠিক করে, কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা কাজ করবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা