পাকিস্তানের হাত থাকার কথা না ভেবে নিজেদের ত্রুটি নিয়ে মাথা ঘামাক ভারত। পুলওয়ামা হামলা দুদিন পরে রোববার এমন মন্তব্যই করল পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, এই হামলাকে একটি পরিকল্পিত নাশকতা বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহম্মদ ফইসাল রোববার বলেন, কোনো তদন্ত ছাড়াই হামলার পরই বলে দেয়া হলো জইশ ও পাকিস্তান জড়িত। অতীতে এমন ঘটনা হয়েছে। ভারতের এই চাল বহু পুরনো।
বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলার পরই ভারতীয় পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জইশ সদস্যরা। ফলে মনে করা হচ্ছিল, পাকিস্তান এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেবে। কিন্তু সরকারিভাবে তা এলো রোববার।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেন, ভারতের ভাবা উচিত এই ঘটনার পেছনে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো গলতি বা গোয়েন্দা তথ্যে কোনো খামতি রয়েছে কিনা। ভারত আত্মঘাতী সদস্য আদিল দারের ভিডিওকে সত্য বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে কুলভূষণ যাদবের স্বীকারোক্তিকে মিথ্যে বলছে।
শুক্রবার পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহম্মদ কুরেশি বলেন, পুলওয়ামা হামলার জন্য কোনো দেশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় না। ভারতে ওই ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কোনো সাক্ষ্য দিলে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভারত পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের ওপরে দোষ চাপিয়ে দেয়া খুব সহজ। এভাবে সমস্যার সমাধান হবে না। বিশ্বে কেউ তা বিশ্বাস করবে না। আমরা জানি নিজেদের কীভাবে বাঁচাতে হয়।
বিপর্যস্ত পাকিস্তানের পাশে বিশাল বরাদ্দ নিয়ে সৌদি যুবরাজ
পাকিস্তানের সাথে দুই হাজার কোটি ডলারের কয়েকটি বিনিয়োগ চুক্তিতে সই করেছে সৌদি আরব। গত রোববার মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি আরাবিয়া এ তথ্য জানায়।
এশিয়ায় কূটনৈতিক সফরের প্রথমেই ইসলামাবাদ গিয়ে মোহাম্মদ সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এ চুক্তির ফলে মন্দা অর্থনৈতিক অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছে পাকিস্তান।
সৌদি যুবরাজের বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের পর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান তাকে স্বাগত জানিয়ে নিয়ে আসে। পরে তাকে বিমানবন্দর থেকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সরকারি ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ সময় সেখানে দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া উপস্থিত ছিলেন।
সেখান থেকে ইমরান খান তাকে নিজে গাড়ি চালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিয়ে আসেন। সেখানে সৌদি যুবরাজকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ দুই দিনের সফরে পাকিস্তান আসেন। প্রত্যাশা করা হয়েছিল এ সফরে তিনি এক হাজার কোটি ডলারের বিভিন্ন চুক্তিতে সই করবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইরানের সীমান্তে একটি তেল সংশোধনাগার স্থাপন। কিন্তু পাকিস্তানের সেই প্রত্যাশা ছাড়িয়ে সৌদি যুবরাজ শেষ পর্যন্ত দ্বিগুণ অংকের চুক্তিতে সই করেন। ফলে অর্থনীতিতে নাজুক অবস্থায় থাকা পাকিস্তানের নতুন সরকারের জন্য এটি বেশ ইতিবাচক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা