২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতের প্রথম গো-মন্ত্রীর পরাজয়

ভারতের প্রথম গো-মন্ত্রীর পরাজয় - ছবি : সংগৃহীত

সদ্য সমাপ্ত ভারতের ৫টি রাজ্যের বিধান সভার নির্বাচনে গো-বলয়ের তিন রাজ্যে গো-হারা হেরেছে বিজেপি। সেই সঙ্গে হেরেছেন ভারতের প্রথম গো-মন্ত্রীও। রাজস্থানের সিরোহি কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী সন্যাম লোধার কাছে প্রায় ১০ হাজার ভোটে পরাস্ত হয়েছেন দেশের প্রথম গো-পালন মন্ত্রী ওটারাম দেওয়াসি। সন্যাম লোধা পেয়েছেন ৮১ হাজার ২৭২টি ভোট। অন্য দিকে দেওয়াসি পেয়েছেন ৭১ হাজার ১৯টি ভোটে। সন্যাম লোধা এর আগে কংগ্রেসের টিকিটে দু’বার জিতেছিলেন। কিন্তু এবার দল টিকিট না দেয়ার নির্দল প্রার্থী হিসেবে দেওয়াসির বিরুদ্ধে দাঁড়ান তিনি। ফলপ্রকাশের পর তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর।

২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে পৃথক গো-পালন মন্ত্রণালয় তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন বসুন্ধরা রাজে। সেই মতো ক্ষমতায় এসে রাজস্থানে ভারতের প্রথম গরুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় তৈরি করেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী । গো-পালন দপ্তরের মন্ত্রী হন নিজের এলাকায় সন্ত হিসেবে খ্যাত ওটারাম দেওয়াসি। রাজস্থানের বিদায়ী মন্ত্রী আদ্যোপান্ত গো-ভক্ত হিসেবেই পরিচিত। দিনের বেশিরভাগ সময় তিনি গরুদের পরিচর্যাতেই ব্যয় করতেন। এমনকী সবসময় রাজস্থানের তথাকথিত রাখাল বালকদের মতো পোশাকও পরতেন। মন্ত্রণালয়ের কাজেও তিনি যেতেন রাখাল বালকের পোশাকে।

কিন্তু এহেন গো-ভক্তকেও হার মানতে হল গো-বলয়ে। শুধু দেওয়াসি একা নন, বসুন্ধরা রাজে মন্ত্রিসভার ৩০ জন সদস্যের মধ্যে ২০ জনই পরাস্ত হয়েছেন এবারের নির্বাচনে। মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে যদিও নিজের কেন্দ্রটি বাঁচাতে পেরেছেন।

১৯৯ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে কংগ্রেস। তাদের হাতে রয়েছে ৯৯টি আসন। যদিও বিএসপি এবং অন্য ছোট দলগুলোর সমর্থনে সরকার গড়া নিশ্চিত কংগ্রেসের। বিরোধীদের দাবি, রাজস্থানে উন্নয়ন তথা সাধারণ মানুষের ইস্যু থেকে সরে গিয়ে মন্দির, মসজিদ এবং ধর্মের রাজনীতি করছিল বিজেপি। গো ভক্তিই সরকারের প্রধান ইউএসপি হয়ে উঠেছিল। কিন্তু মানুষ বিভাজনের রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। মানুষ এখন ভোট দিচ্ছেন উন্নয়ন, দুর্নীতি, বেকারত্বের মতো ইস্যুতে। রাজস্থানে গো-মন্ত্রীর পরাজয় তারই প্রমাণ।


আরো সংবাদ



premium cement