২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিধুকে যা বললেন ইমরান খান

সিধুকে যা বললেন ইমরান খান - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে আসার জন্য ধন্যবাদ। উনি শান্তির দূত। সমালোচনায় বিদ্ধ ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুর পাশে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

শুধু তাই নয়, সমালোচকদের এক হাত নিয়ে নয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সিধুর সমালোচনা করছেন, তারা উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বিশাল ক্ষতি করছেন। আরো এক ধাপ এগিয়ে ইমরান বলেন, কাশ্মীরসহ যাবতীয় মতবিরোধ কাটিয়ে উঠতে ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনায় বসতেই হবে। উপমহাদেশে দারিদ্র দূর করে মানুষের অগ্রগতি নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভালো রাস্তা আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য কাটিয়ে তোলা ও বাণিজ্যিক আদানপ্রদান চালু করা।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর দিনেই চণ্ডীগড়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিধু। তিনি বলেন, কোনো ‘রাজনৈতিক’ সফরে নয়, এক বন্ধুর (ইমরান খান) উষ্ণ আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান উপস্থিত হয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আমাকে বলেন, ভারতের ডেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের শিখ তীর্থস্থান কর্তারপুর পর্যন্ত করিডর খোলার চেষ্টা করছেন তারা। ওই ‘আবেগঘন’ মুহূর্তে জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করেছিলাম।

পাশাপাশি এপ্রসঙ্গে সিধু এদিন তুলনা টেনে আনেন ২০১৫ সালে লাহোরে তৎকালীন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলিঙ্গনের সঙ্গেও। তার দাবি, দু’টিই ‘আবেগঘন’ মুহূর্তের বহিঃপ্রকাশ।

গত ১৮ আগস্ট ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য সিধুকে কড়া সমালোচনা হজম করতে হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করায় বিরোধী দলের পাশাপাশি সিধুর সমালোচনায় সরব হয়েছেন তার কংগ্রেস সহকর্মী তথা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও। যদিও এদিন সিধুর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

ইমরান খানের ট্যুইট, আমার শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তানে আসার জন্য সিধুকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। উনি শান্তির দূত। পাকিস্তানের মানুষ তাঁকে ভালোবাসা ও উষ্ণতায় ভরিয়ে দিয়েছে। চণ্ডীগড়ে সিধুর সংবাদ সম্মেলনের ঠিক পরেই ইমরান খানের ট্যুইট প্রকাশ্যে আসে। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে যাঁরা সিধুকে নিশানা বানাচ্ছেন, তারা উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বিশাল বড় ক্ষতি করছেন। শান্তি ছাড়া মানুষের অগ্রগতি হতে পারে না। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটের আগে চণ্ডীগড়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সিধু। সেখানে তিনি বলেন, পাকিস্তানে আমার ওই সংক্ষিপ্ত সফর কোনো দিক থেকেই রাজনৈতিক ছিল না। এক বন্ধুর (ইমরান খান) উষ্ণ আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছি মাত্র। এমন এক বন্ধু, যিনি নিজের জীবনে কঠোর পরিশ্রম ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছেন, যেখান থেকে কোটি কোটি মানুষের জীবন বদলে দেয়া সম্ভব।

 


আরো সংবাদ



premium cement