ভারতে গণধর্ষণের শিকার ৫ নাট্যকর্মী
- বিবিসি
- ২২ জুন ২০১৮, ২২:৩৭
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে নারী পাচারের বিরুদ্ধে প্রচার করতে গিয়ে ৫ নারী নাট্যকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের এমন একটি জায়গায় যেখান থেকে নারী পাচার হয় বলে বিস্তর অভিযোগ এবং প্রমাণ রয়েছে।
এই পাচারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের সচেতন করতে সেখানে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কিছু নারী-পুরুষ। পথ-নাটিকার মাধ্যমে তারা প্রচার চালাচ্ছিল খুন্টি নামক একটি জেলার এক দূরবর্তী এলাকায়।
পুলিশ বলছে, নাটক শেষ হওয়ার পরে তারা এক স্থানীয় মিশনারি স্কুলে গিয়েছিল। আর সেখানেই কয়েকজন বন্দুকধারী হানা দেয়। পুরুষ স্বেচ্ছাসেবীদের মারধর করে সরিয়ে দিয়ে ৫ জন নারী কর্মীকে গাড়িতে তুলে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় তারা। সেখানে ঐ নারীদের তাদের গণধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের রাঁচি রেঞ্জের ডিআইজি এ ভি হোমকার।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ওই নারীদের চিহ্নিত করে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
৪-৫ জন দুষ্কৃতির নাম আমরা জানতে পেরেছি। তবে তিনজনকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনটি আলাদা দল গঠন করে তল্লাশি চলছে, জানিয়েছেন আরেক পুলিশ কর্মকর্তা।
যে অঞ্চলে এই গণ-ধর্ষণের ঘটনা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় গ্রামগুলিকে চারদিক থেকে পাথর দিয়ে ঘিরে রাখেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা নিজেদের স্বাধীন বলে মনে করেন এবং বহিরাগতদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে দিতে চান না। অথচ ওই এলাকা থেকেই বহু নারী বাইরে পাচার হয়ে যায়। তাদের বিভিন্ন শহরে নিয়ে গিয়ে মূলত যৌন পেশায় কাজ করানো হয় বলে বিস্তর অভিযোগ প্রমাণ রয়েছে।
আরো দেখুন : কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৪ জন নিহত
ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে পুলিশের সঙ্গে লড়াইয়ে কমপক্ষে চার জন নিহত হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে যে, নিহতদের সাথে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’র সংশ্লিষ্টতা ছিল। রাজ্যের পুলিশ এক টুইট বার্তায় এখবর নিশ্চিত করেন। খবর এনডিটিভি’র
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কাশ্মীরের একটা বাড়িতে তিনজন জঙ্গি ঢুকে বসে ছিল। শুক্রবার ভোর রাতে সেখানে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশ। অভিযানে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি এক পুলিশ সদস্য ও একজন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বাহিনীর ডিজিপি জানিয়েছেন, অভিযানে চার সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন আইএসের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরে এক পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর সেখানকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে যে, উপত্যকাটিতে আইএসের উপস্থিতি রয়েছে।
রাজ্যটির পুলিশ প্রধান আরো জানান, সেখানে আইএসের উপস্থিতি তেমন ব্যাপক না হলেও তা উদ্বেগের বিষয়। কেননা কাশ্মীরে আইএসের উপস্থিতি সেখানকার পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে দেবে।
এদিকে, অভিযানের স্বার্থে শ্রীনগর ও অনন্তনাগে ইন্টারনেটের যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রমজান মাস ও পবিত্র ঈদ শেষ হওয়ার পরেই জঙ্গিদের খুঁজে বার করার কাজ জোর কদমে শুরু করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
ইতিমধ্যে মেহবুবা মুফতির সাথে বিজেপি সরকারের যে জোট ছিল, তাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ‘রাজ্যপালের শাসন’ চলছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে জঙ্গি হামলা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা