২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুরসির অগ্রহণযোগ্য মৃত্যু

-

মোহাম্মদ মুরসিকে মিসরের ইতিহাস অনাগত সময়ের জন্য স্মরণ করবে। কেননা তিনিই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট। এটি এমন এক বিষয় যা মুরসির শত্রুও সহজে স্বীকার করবে। নির্বাচন তাকে রাতারাতি একজন হিরো হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছেন। তিনি মাত্র এক বছর ক্ষমতায় ছিলেন আর ৬ বছরের বেশি জেলে ছিলেন। এই হলো তার জীবনের শেষ পরিণতি। কিন্তু জনাব মুরসির মৃত্যুকে কেউ সহজভাবে নিচ্ছে না। বলা হচ্ছে, তার সাথে এমনভাবে আচরণ করা হয়েছে যেন তিনি জেলেই মারা যান।

আর যদি মারা নাও যায় ফাঁসির আদেশ তো আছেই। রিজিমের এটাই পরম ইচ্ছা; আর সে ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুড বলেছে, মুরসিকে হত্যা করা হয়েছে। জনাব এরদোগান বলেছেন, তিনি শহীদ হয়েছেন। উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য ও আরব বিশ্বে এ ঘটনা মিসরের ক্ষমতাসীন সিসি সরকারকে অনেক ভোগাবে।

মুরসি তারই এককালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির হাতে অমানবিক নির্যাতন ও পীড়নে মৃত্যুবরণ করেছেন। কোনো কারণ ছাড়া ইসরাইলি আঁতাতের মাধ্যমে নিজের বসের বিরুদ্ধে মুনাফেকি করে সিসি ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলেন। মিসরে দু’টি জিনিস ক্ষমতাধর। একটি ডাণ্ডা অর্থাৎ সেনাবাহিনী, আরেকটি ঠাণ্ডা মানে ফরমায়েশি আদালত। আমরা বিতর্ক করি অসির চেয়ে মসি বড়। এখন সেই দিন শেষ, দু’টি সমান। আর সিসি দু’টিই পকেটস্থ করেছেন।

গণতন্ত্রের বিজয়ে অর্থাৎ গণভোটে ব্রাদারহুডের ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি ভীত হয় সৌদি আরব, আমিরাত, বাহরাইন, জর্দান। কেননা এসব দেশে প্রচুর ব্রাদারহুড নেতাকর্মী রয়েছেন। এসব দেশের জন্য মুরসির বিজয় হলো অশনিসঙ্কেতের মতো। মুরসির এক বছরের শাসনে সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারেননি। তেমনিভাবে অন্যান্য উল্লিখিত দেশগুলোর কাছ থেকেও কোনো প্রকার ভ্রাতৃসুলভ আচরণ পাননি, না জীবনে না মরণে। মুরসি ক্ষমতায় এসেই ইসরাইলে কম দামে দেয়া তেলের চুক্তি বাতিল করেন। এ ব্যাপারে তিনি কোনো প্রকার পূর্ব আলোচনা বা ঘোষণা দেননি। তিনি ফিলিস্তিনিদের সহায়তা, মুসলিম উম্মার ঐক্য, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিভিন্ন গোষ্ঠীর ঐক্য ও সহায়তার কাজ শুরু করেন।

মুসলিম বিশ্বে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা ব্রাদারহুডের নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্ট করতে থাকেন। ইসরাইল তখন মুরসির বিরুদ্ধে ফ্রন্ট লাইনে চলে আসে। সিসিকে দিয়ে ক্ষমতা দখলের ফন্দি শুরু হয়। সিসি এখন বলছেন, ‘মিসর এখনো গণতন্ত্রের জন্য প্রস্তুত হয়নি।’ এদিকে আরব বিশ্বের শক্তিধর কিছু দেশও ব্রাদারহুডের উত্থানে ভয় পেয়ে মুরসি, ব্রাদারহুডের মিসরের রাজনৈতিক ফ্রন্টকে শেষ করে দেয়ার জন্য অগণিত অর্থ ঢালতে থাকে। সেনা অফিসাররা টাকার নেশায় সিসির কথায় চলতে থাকে।

মুরসি ও ব্রাদারহুডের ওপর সিসি চড়াও হয়। শত শত কর্মীকে জেলে ঢোকানো হয়। মুরসিকে বানোয়াট ইস্যুর ওপর জেলে ঢুকানো হয়। তার অনুসারী বিচারকদের বিদায় দেয়া হয়। সিসি বলে থাকেন, ‘আমার বেশি বেশি লোক ধরতে হবে। তা না হলে এদের যে কেউ আমাকে ধরবে।’ ‘আমি এ নীতিতেই প্রেসিডেন্টকে (মুরসিকে) ধরেছি।’ ইসরাইলের তেল চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার দু’দিন আগে সিসি বলেছিলেন, ‘মূর্খ দিয়ে দেশ শাসন হয় না।’ তখন মুরসির কিছ্ইু করার ছিল না, নাটকের শেষ দৃশ্য মঞ্চায়ন হচ্ছিল মাত্র। সিসি হোসনি মোবারকের দুই পুত্র গামাল মোবারক ও আলা মোবারককে জেলে ঢুকিয়েছেন।

সরকারি পত্রিকা আল-আখবারের সম্পাদক ইয়াসিরকেও সাইজ করেছেন। ইয়াসিরের ঘটনার পর সরকারি টিভি ও মিডিয়া মুরসির বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচার করেছে না। আলজাজিরার সাংবাদিককেও কোনো ফরমাল অভিযোগ ছাড়া মাসের পর মাস জেলে রেখেছেন। গামালকে ধরার কৌশল হিসেবে সিসি বলেন, তিনি ব্রাদারহুডের সাথে চুক্তি করেছেন। সিসি বলে থাকেন, মিসরের সব দুর্ভোগ ও কষ্টের সাথে ইখওয়ান ও ব্রাদারহুডের ‘শয়তানি হাত’ রয়েছে। কিন্তু জনগণ তা মোটেই বিশ্বাস করে না।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি মুরসির মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। জাতিসঙ্ঘের স্টিফেন দুজারিক মুরসির পরিবারের কাছে সমবেদনা জানান। সারা হুইটসন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, বলেছে, ‘মর্মান্তিক, তবে এই ধরনের কোনো মৃত্যুই যে তার ভাগ্যে আছে সেটি বোঝা যাচ্ছিল।’ তিনি আরো বলেন, মুরসিকে এই ৬ বছর কোনো ভালো খাবার দেয়া হয়নি। আরো মর্মান্তিক, তা হলো প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হয়নি। তিনি আরো অনেকবার আদালত কক্ষের মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেজন্য কোনো পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। মনে হচ্ছে কর্তৃপক্ষ ও আদালত চেয়েছিল এভাবে পড়ে গিয়ে যেন আর না ওঠেন। এখন তাই হয়েছে। কিন্তু কেন তিনি পড়ে গেলেন? তাকে তিলে তিলে খাবার ও ওষুধ কমিয়ে ও সরবরাহ না করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।

আদালতের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব কী? তিনি কি আসামির শারীরিক অবস্থা খেয়াল করবেন না? মুরসি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওজন কমে যাওয়া, দিন দিন নির্জীব হয়ে যাওয়া- এসব রোগে ভুগছিলেন। ওজন কমে যাওয়া ও নির্জীব হয়ে যাওয়া বিষক্রিয়ার মাধ্যমেও হয়ে থাকে। সাদ্দামও নির্জীব ও দুর্বল হয়ে বুদ্ধিহীন হয়ে পড়েছিলেন। তাই মুরসিকে স্লো পয়জন দেয়া হয়েছে কিনা হয়তো সময় বলে দেবে। ইয়াসির আরাফাত, হোসনি মোবারক, সাদ্দাম হোসেন- এদের প্রত্যেককে স্লো পয়জন দেয়া হয়েছে। মুরসির ক্ষেত্রেও তেমন সম্ভাবনা রয়েছে বৈ কি। কেন তাড়াহুড়ো করে কবর দেয়া হলো? প্রশ্ন আসছে। এখন তার মৃত্যু-পরিস্থিতি তদন্ত করার দাবি উঠেছে।

জেলখানায় বিশ্ব সংবাদ জানার জন্য মুরসিকে কোনো টেলিভিশন দেয়া হয়নি, ইমেইল সুবিধা দেয়া হয়নি, পরিবার ও বন্ধুদের সাথে কোনো যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি ৬ বছর ধরে। এভাবে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যাওয়ার জন্য জান্তার কর্মকর্তা, সিসি নিজে ও আদালতের বিচারকেরা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। জান্তার পাবলিক প্রসিকিউটর বলছেন, পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে মুরসির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই অর্থাৎ স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বকে ধোঁকা দেয়ার জন্য কত তাড়াতাড়ি প্রশ্নবিদ্ধ পোস্টমর্টেম করা হলো! কিন্তু তার শরীরের হাড় ও অটোপসি টেস্ট করা হয়নি। তার প্রেসারের কোনো রেকর্ড কেউ দেখাতে পারেনি। ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী অনিয়মিত ওষুধ খেলেও যেকোনো সময় এভাবে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে। তাই বলা যায়, মুরসিকে পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। মাঝে মধ্যে দেখা যায়, মিসরের ইতিহাসে অনেক রাজন্যবর্গ হত্যা-খুনের রক্তে রঞ্জিত। ক্লিউপেট্রা, মার্ক এন্থনি, জুলিয়াস সিজার, যাজক হারমাসিস ও তার বোন চারমিয়ন সবাই বিষ বা বিষাক্ত ছোরা দিয়ে একে অন্যের প্রাণ সংহার করেছেন ও হত্যার শিকার হয়েছেন। ইতিহাসের এই ধারাবাহিকতায় মুরসিকেও প্রত্যক্ষভাবে মিসরের মাটিতে জীবন দিতে হলো। কিন্তু হত্যার তীর নিক্ষেপকারীর দিকেই এক সময় ফিরে আসে।

জান্তা মুরসিকে এত ভয় পেত যে তাকে সাউন্ডপ্রুফ কাচের খাঁচায় রাখত। এই আইডিয়াটা ইহুদিরা মিসরকে দিয়েছে।। জার্মানির সেনাবাহিনীর ইহুদিদের ত্রাস কমান্ডার আইখম্যানকে ধরার পর তাকে কাচের বাক্সে রেখেছিল। যেন সে কোনোভাবে পালাতে না পারে বা আত্মহত্যা করতে না পারে। মুরসিকেও সেভাবে রাখা হয়েছে। জান্তার ভয় ছিল মুরসি বের হলেই জান্তাকে বিদায় নিতে হবে।

পশ্চিমারাও একই উদ্দেশ্য নিয়ে ভিন্ন প্লাটফর্মে মুরসিবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। চলতি মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার নিয়মনীতি চূড়ান্ত করছে। একটি দেশের পুরো সেনাবাহিনীকে, যেমন ইরান, যদি সন্ত্রাসী বলা যায় ব্রাদারহুডকে আখ্যায়িত করা তেমন কী আর কঠিন। এ বিষয়ে এই কলামে ব্রাদারহুডকে কালো তালিকাভুক্তকরণ প্রসঙ্গে লিখেছি। এখানে তা পুনঃ উল্লেখ করতে চাই না। যদি সত্যি তা হয়, এতে চরমভাবে উপকৃত হবে মিসর, সৌদি আরব, আমিরাত ও জর্দান। তবে জর্দানে পরিস্থিতি ভিন্নতর রূপ পরিগ্রহ করবে কোনো সন্দেহ নেই। ব্রিটিশ ডেলিগেশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপ দেখতে পান, মুরসিকে ২৩ ঘণ্টা সেলে আটক করে রাখা হয়েছে। তারা আশঙ্কা করেছেন, এ কারণে মুরসির অকাল মৃত্যু হবে। এখন মুরসির মৃত্যুর পর ব্রিটিশ এই দল সিসির কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চেয়েছে। মিসরের ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি মুরসির অকাল মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। বলা যায় না মৃত মুরসি জীবিত মুরসির চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারেন।

মিসরে অনেক আগ থেকেই সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ডিপ স্টেট নিয়ন্ত্রণ করত। মুরসি এগুলোকে লাইন আপ করতেই অনেক সময় অতিবাহিত হয়। তখন তার বিরুদ্ধে ইসরাইলি গোয়েন্দারা মিডিয়ার সাহায্যে প্রচার করে যে, মুরসি ইসলামী ক্যু করতে যাচ্ছেন। তখন অর্থনীতিও ভালো ছিল না, তবে এখনো নেই। এসব কারণ দেখিয়ে ৩ জুলাই ২০১৩ সংবিধান স্থগিত করে এবং মুরসিকে গ্রেফতার করে।
এত সবের পরও মুরসিকে হত্যা করতে প্রায় ছয় বছর সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার যে আলো দেখেছে সেটি ভুলে যায়নি। এখন অবস্থা এমন সিসি যতই হত্যা ও খুনের কাজ করুক না কেন, মানুষ মুক্তির প্রতীক হিসেবে মুরসিকেই স্মরণ করবে।

গণতন্ত্র ও সিভিল সোসাইটি মিসরে উধাও হলেও মিসরের ইতিহাসে এই প্রথম সেনাবাহিনীকে সংবিধানের রক্ষক করা হয়েছে! সংবিধানের ১৮৫ ধারায় ‘কাউন্সিল অব জুডিসিয়াল বডিস’ গঠন করা হয়েছে এবং তার সভাপতি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে স্বয়ং প্রেসিডেন্টকে। তিনি ইচ্ছামতো কমিটির সদস্য নির্বাচন করবেন। বিচারের কী অবস্থা হবে তা বোঝাই যায়। কেননা সিসি নিজেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান হয়েছেন, সংসদ, মিডিয়া, বিচারব্যবস্থা, নিরাপত্তা, সবই। তাই কারো বিরোধিতা করার উপায় নেই। যারা তার এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করবেন তাদের জেল খাটতে হবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মিসর সফরে গিয়ে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের আমলের চেয়ে মানবাধিকার পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে।

২০ লাখ মিসরি সৌদি আরবে কাজকর্ম করে ও বসবাস করে, ফি বছর প্রায় সমপরিমাণ মিসরি হজ ওমরা করার জন্য সৌদি আরবে যায়। হজের সময় হাজার হাজার মিসরি ড্রাইভার গাড়িচালক ও অন্যান্য সেবাকাজে নিয়োজিত থাকে। প্রায় পাঁচ লাখ সৌদি লেখাপড়া ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য মিসরে থাকেন। সৌদি সহায়তা ও টাকার জন্য সিসি দু’টি দ্বীপ হস্তান্তর করেছেন। তিরান ও সানাফির দ্বীপ এর সামরিক গুরুত্ব অনেক বেশি। দ্বীপ হস্তান্তরের বিপরীতে মিসর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ ও বিনিয়োগ পাবে সৌদি আরব থেকে।

মিসর-সৌদি-ইসরাইল বলয়কে আরো শক্তিশালী করার জন্য ১০ কিলোমিটার লম্বা ব্রিজ আকাবায় নির্মাণ করা হবে। ফলে মিসর ও সৌদি আরব সংযুক্ত হবে। এই সেতুতে রেলপথও বসানো হবে। হাজার হাজার মিসরির চাকরির সুযোগ হবে। এ ধরনের একটি পরিকল্পনা ১৯৮৮ সালে পরিকল্পনার টেবিলে আসে। তখন ইসরাইল কঠিন আপত্তি জানায়। কিন্তু এখন দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ইসরাইল বরং এ প্রকল্পে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

মনে হচ্ছে মিসর ও ইসরাইল ফিলিস্তিনে আরো একটি যুদ্ধ চায়। এর ফসলস্বরূপ ইসরাইল পুরো গাজা দখল করবে এবং মিসর নেগেব মরু এলাকার গাজার সমান আয়তনের জমি সংযুক্ত করবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement