২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি?

-

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ দিনের আলাপ-আলোচনা এবং উত্তাপ-উত্তেজনা শেষে এখন উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করা গণতন্ত্র বিশুদ্ধতা পায় কি-না এবং জনগণ শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে অবাধে তাদের ভোট দেয়ায় সুযোগ পাবে কি-না। এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসি বা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো, পক্ষপাতিত্বহীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। এদিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচন পরিচালনা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে। যে ফোরাম থেকে এ অভিযোগ উঠেছে, সেই আন্তর্জাতিক সংগঠন সেন্ট্রিস্ট ডেমোক্র্যাট ইন্টারন্যাশনার (সিডিআই)। সংসদ নির্বাচনে ইসিকে পক্ষপাতমূলক হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা এবং নিরপেক্ষ ও ন্যায্য গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) বাংলাদেশ সরকারের ওপর সর্বোচ্চ মাত্রায় চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারেরও বিরাট ভূমিকা থাকে নির্বাচনে।

নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে নির্বাচন কমিশন, তবে মাঠপর্যায়ে ভোটগ্রহণের মূল দায়িত্বে নিযুক্ত থাকেন সরকারি কর্মকর্তারা। যেহেতু ক্ষমতাসীন সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এবার নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে সরকারি দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি দৃষ্টি রেখেই তারা কাজ করবেনÑ এমন আশঙ্কাই রয়েছে। এ অবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা কতটা? তা ছাড়া, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের যে মনোভাব, তা-ও প্রশ্নের জন্ম দেয়। যেমন তারা বলছেন, তাদের পক্ষে ভোটবিপ্লব ঘটবে। এমন দাবি করা নির্বাচনের আচরণবিধির পরিপন্থী না হলেও ‘বিপ্লব’ শব্দের অর্থ সবকিছু ওলটপালট করে দেয়া। ‘বিপ্লব’ মানে, সবকিছু বিশৃঙ্খল হয়ে পড়া। অথচ ভোট হতে হবে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে। নির্বাচনে ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটাতে হবে শান্তি ও শৃঙ্খলার পথ ধরে। নির্বাচনে প্রার্থীদের এমন মনোভাব বাঞ্ছনীয় নয় যে, তারা যেকোনো উপায়ে বিজয়ী হবেন। বরং গণতন্ত্রের মূল চেতনা হচ্ছে, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন।

জনগণ চাইলে তারা বিজয়ী হতে পারেন। সে যাই হোক, এতসব সমস্যা মাথায় নিয়ে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এখন দেখা যাক, নির্বাচনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া কিভাবে ৩০ ডিসেম্বর শেষ হয়। গণতন্ত্রের সতর্ক পর্যবেক্ষকেরা আশা করেছিলেন, এবারের প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থাকবে না। তাদের আশা পূর্ণ হয়নি। নানা অভিযোগ ও অঘটনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সময় অতিবাহিত হয়েছে। বিশেষ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের অমর্যাদা ঘটেছে নানাভাবে। ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন অহরহ। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব চাপ অগ্রাহ্য করে মাথা উঁচু করে দায়িত্ব পালন করে যায়। ভারতের আর্থসামাজিক অবস্থার সাথে বাংলাদেশের খুব বেশি পার্থক্য নেই। সে দেশের রাজনীতিকদের সাথে আমাদের নেতাদের পার্থক্য বেশি নেই। ভারত বৃহত্তর একটি গণতান্ত্রিক দেশ, সেখানে অনেক বিষয় এবং নানান প্রশ্ন আছে। কিন্তু তাদের নির্বাচন কমিশন এমন অবস্থার মধ্যে মাথা উঁচু রেখেই প্রশ্নহীনভাবে ভোটগ্রহণ করে থাকে। তাদের এই শক্তি-সামর্থ্য থেকে আমাদের কমিশনের যথেষ্ট শেখার আছে। আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তত দিন স্বীকৃতি পাবো না, যত দিন না নির্বাচনে স্বচ্ছতা আসবে। এবারের নির্বাচন থেকে আমরা সেই স্বচ্ছতার অনুশীলন শুরু করতে পারি।

নির্বাচন যদি নিয়ন্ত্রিত হওয়ার অভিযোগ ওঠে আর নির্বাচন কমিশন যদি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থ হয়, তবে এর পরিণতি শুধু অশুভই হবে না, তাতে দেশের আগামী দিনগুলো ভয়ানক হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। গত পাঁচ বছর বাংলাদেশের মানুষ অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় কাটিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক ছিল না, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ছেয়েছিল বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষমতাসীনদের নিজস্ব সংগঠনের মতো তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে আছে। গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে দেশ আসলে দল বিশেষের ইচ্ছায় চলেছে। উপেক্ষিত হয়েছে মানুষের মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্রের একটি প্রধান অঙ্গ হলো, আইন বিভাগ। গত পাঁচ বছর তার কোনো অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়নি। এর পরিণতিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছিল না কোনো জবাবদিহিতা।

স্রোতহীন নদী যেমন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়, তেমনি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সর্বত্র জবাবদিহিতার অভাবে অনিয়ম অব্যবস্থা স্তূপীকৃত হয়েছে। এমন অবস্থা বিরাজ করলে দেশ আইনাধীন থাকে না; বরং সুশাসনের অভাবে সমাজে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে যদি দেশের এই বদ্ধতা দূর করতে হয়, নির্বাচন বা ভোটকে করতে হবে অবাধ ও প্রশ্নহীন। আর এমন নির্বাচন করানোর পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের এবং সরকারের। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে কমিশন ও সরকার- উভয়ের প্রতি গোটা জাতি ও বিশ্বসমাজ শুধু নিন্দাই জানাবে না, এর সাথে তাদের দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা নেই। তাই এবার তারা চরম পরীক্ষায় রয়েছেন। এবার সংসদ নির্বাচনে আরো একটি বিষয়ের ফায়সালা হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট অনুষ্ঠানের দাবি ছিল সব দলের। কিন্তু সে দাবি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতেই নিরপেক্ষ সরকারের দাবি ওঠে।

এবার যদি ভোটে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা অতীতের মতো কারচুপির আশ্রয় নেন, তবে ভবিষ্যতে এর একটা বিহিতের জন্য আরো জোরালো দাবি উঠবে। তাছাড়া নির্বাচনে আবারো যদি অনিয়ম কিংবা ভোট ডাকাতি হয়, তাহলে এর পরে যারা সরকার গঠন করবেন, এটা তাদের জন্য শুভ হবে না। সে সরকারের আন্তর্জাতিক সমাজের বন্ধুত্ব সম্মান স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সেই সাথে, সরকারের বিরুদ্ধে আবার অতীতের মতো আন্দোলন শুরু হতে পারে। এতে দেশের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠবে। তার প্রভাব পড়বে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থায়। অস্থির পরিবেশে দেশের অর্থনীতিতে ও শিল্পে চরম মন্দা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকবে। কর্মসংস্থান না হলে দারিদ্র্য ঘুচবে না, হাজার হাজার তরুণের বেকারত্বের গ্লানি মুছবে না। গত প্রায় পঞ্চাশ বছরে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনো শুদ্ধতা আনতে পারেননি। সরকার বদলের যে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া হচ্ছে ভোট, সেটা প্রশ্নমুক্ত হয়নি। মানুষের ভোটাধিকারের প্রতি এখনো অবজ্ঞা অবহেলা চলছে। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনে সরকার গঠন এবং সে সরকারের পরিচালনায় দেশ চলছে দীর্ঘ পাঁচ বছর। এ নিয়ে বৈধতার প্রশ্ন উঠলেও সরকার তাতে কিছু মাত্র গ্লানি বোধ করেনি।

নির্বাচনের দুয়ারে দাঁড়িয়ে এখন বলতে হয়, যার শুরু ভালো হয়নি, তার শেষ ভালো হওয়ার আশা কোথায়? নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত বহু সংবেদনশীল ও জরুরি কিছু প্রশ্নের নিষ্পত্তি হয়নি। এ নিয়েই নির্বাচন কমিশন ভোট করতে যাচ্ছে। তাই বলা যায়, এবার একটি ভিন্ন মাত্রায় জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তবে এ দায়িত্ব পালনে কমিশন যে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে, তা বলা যাবে না। উপরে তাদের এ সংক্রান্ত দুর্বলতাগুলো নিয়ে বলা হয়েছে। সব কিছু দেখা হলে এই বিবেচনায় উপনীত হতে হয় যে, আগামীতে ক্ষমতাসীনদেরই পুনরায় গদিনসিন করার লক্ষ্যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যাদের সহযোগিতায় এই ‘উপলক্ষ’ ঘটতে যাচ্ছে, তারা দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে আরো একটি কালো অধ্যায় সংযোজন করে যাবেন মাত্র। এটা তাদের কোনো ছোটখাটো অন্যায় নয়। নির্বাচন পরিচালনাকারী ব্যক্তিরা সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সংবিধান তাদের কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি নিয়েছে স্পষ্টভাবে। তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে সংবিধানের নির্দেশনা লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হবে। সরকার একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় রয়েছে গত পাঁচ বছর। অনেকেই মনে করেন, ভোট ছাড়া নিছক আইনি মারপ্যাঁচে ক্ষমতার চর্চা করা হচ্ছে। তাই সত্যিকার জনপ্রতিনিধিমূলক সরকার এটা নয়।

সে কারণেই জনগণের স্বার্থে কাজ করার ততটা গরজ এবং দায় তারা অনুভব করেননি। উন্নয়নের ঢাকঢোল যতই পেটানো হোক না কেন, উন্নয়নের যে সামগ্রিকতা, তা কিন্তু অনুভব করা যায়নি। সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে, নাগরিক জীবনে নিরাপত্তা, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের উপরে উঠে আসা, এসব দৃশ্যমান নয়। দেশের মানুষের কাজের সংস্থান হওয়া উন্নয়নের একটি বড় সোপান। কিন্তু নথিপত্র বলে, গত ১০ বছরে. অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেকার তরুণদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। উন্নয়ন বললে সাথে সাথে গণতন্ত্র কথা চলে আসে। সমাজে গণতন্ত্র না থাকলে প্রশাসনের জবাবদিহিতার বদলে স্বেচ্ছাচারিতা বৃদ্ধি পায়।

গত ১০ বছর থেকে রাষ্ট্রে জবাবদিহিতার তেমন কোনো বালাই নেই। স্বেচ্ছাচারিতা বৃদ্ধি পেলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জড়িত ব্যক্তিরা অন্যায়ের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতির প্রসার ঘটান। তাই এখন দুর্নীতির মাত্রা এত বেশি বেড়েছে যে, পৃথিবীর দুর্নীতিপরায়ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করছে। এবার নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনদের সম্পদের হিসাব বেরিয়ে এসেছে। তা লক্ষ করলে দেখা যাবে, তারা সম্পদে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। অনিয়ম করা ছাড়া বৈধভাবে সম্পদের এমন স্ফীতি ঘটতে পারে না মাত্র ক’বছরে। ক্ষমতার পিছু পিছু ছুটেছে সম্পদ। উপরতলার এই ভাগ্যবান সম্পদশালীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবনযাপন এখন অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে।

প্রতিটি জাতীয় সংবাদপত্র দেখা গেছে, এবার নির্বাচনের শুদ্ধতার জন্য সোচ্চার হয়ে আছে মিডিয়া। সংবাদপত্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সব অনিয়ম অবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। সে দায়িত্ব তারা পালন করছেন। এদিকে, নির্বাচন নিয়ে সব ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশন সব বিষয়ে একটা রাখঢাক আচরণ দেখাচ্ছে। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের স্বাধীনভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে কমিশন নাকি বাধার সৃষ্টি করবে। তাদের এমন মনোভাব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, পর্যবেক্ষকদের ভোটের সময় ‘মূর্তির মতো’ নিশ্চল নির্বাক থাকতে হবে। এ ছাড়া তাদের আর কোনো ভূমিকা তখন থাকবে না। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য কমিশন একটি নীতিমালা তৈরি করেছে।

এটা বস্তুত তৈরি হয়েছে পর্যবেক্ষকদের কাজে প্রতি পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য। এভাবে নির্বাচনের পথ মসৃণ করার পরিবর্তে কার্যত কঠিন করে তোলা হয়েছে। শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, অন্যান্য সরকারি সংস্থাও একযোগে বিরোধী দলের প্রার্থীদের প্রতি বিরূপ আচরণ করছে। বিরোধী দলের জন্য সব ক্ষেত্রেই প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছে। কোনো কোনো সংবাদপত্র এ অনিয়মের বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। এসব কারণে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষ কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সংবাদপত্র এ পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব পালন করেছে বটে, তবে এখনই তাদের সে গুরু দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। আগামী ক’টা দিন এবং বিশেষ করে নির্বাচনের দিনের সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতকাল তারা ভালো নির্বাচনের পক্ষে কলম চালিয়েছেন। এখন নির্বাচনের দিন তাদের এই শুদ্ধতার পক্ষে কলম শাণিত করতে হবে। নির্বাচন যেখানে পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা গৌণ করে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক গুণ বেড়েছে।
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement