২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেঞ্চুরি ও বড় জুটির আশা মুমিনুলের

গত পাঁচ টেস্টে সেঞ্চুরি শূন্য বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা ; ১০ ইনিংসে ফিফটি মাত্র ছয়টি ; সবশেষ ১০ ইনিংসে ২৫০ পার হয়নি স্কোর
দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের সাথে অধিনায়ক মুমিনুল হক। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে হনয়া দিগন্ত -

গত পাঁচ টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে আসেনি সেঞ্চুরি। মুমিনুল হক আত্মবিশ্বাসী, এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় জুটি গড়ে, সেঞ্চুরি করে রান-খরা কাটিয়ে উঠবে তার দল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমন আশ্বাসই দিলেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে একসাথে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান। পরের পাঁচ টেস্টে তিন অঙ্কের দেখা পাননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। সে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে সৌম্য সরকার ১৪৯ এবং রিয়াদ করেছিলেন ১৪৬ রান। সেই ম্যাচটিই ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি করার সবশেষ নজির।
এরপর আরো পাঁচটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, দু’টি ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে, একটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠে আর সবশেষ ম্যাচটি ছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে।
এরপর পাঁচ ম্যাচের দশ ইনিংসে ব্যাট করে একটি সেঞ্চুরিও করতে পারেননি কোনো বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরি দূরে থাক, ফিফটিই হয়েছে সাকুল্যে ছয়টি। যার দু’টিই আবার মুশফিকুর রহীমের ব্যাট থেকে, ভারত সফরের দুই ম্যাচে (৭৪ ও ৬৪)। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে তামিম ইকবাল ৭৪, রিয়াদ ৬৭, আফগানদের বিপক্ষে মুমিনুল হক ৫২ এবং রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৩ রানের ইনিংস।
লম্বা ইনিংস না আসা মানেই দলীয় স্কোরের বাজে অবস্থা। সেটিই দেখতে হয়েছে গত কয়েকটি টেস্টে। গত পাঁচ টেস্টের ১০ ইনিংসের কোনোটিতেই বাংলাদেশের স্কোর ২৫০ পেরোয়নি। ভালো স্কোর না গড়ার খেসারত হিসেবে তামিম-মুমিনুলদের প্রতিটি টেস্ট হারতে হয়েছে বাজেভাবে। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় জুুটি গড়ার আশা রয়েছে মুমিনুলের। এমনকি ব্যক্তিগত স্কোর ডাবল, ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বপ্নও দেখছেন তিনি।
গত এক বছরে দুর্দান্ত ইনিংস দেখা যায়নি ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে। গতকাল শেরেবাংলায় ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সে ব্যাখ্যাই দিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। সেঞ্চুরি খরা কাটানোর আশ্বাস দিয়ে বললেন, ‘এতগুলো ইনিংসে একটা সেঞ্চুরি না থাকা মানে নিচের দিকেই আছি। খেলোয়াড়দের কখনো কখনো বাজে সময় যায়। দল হিসেবে আমরা হয়তো সেই খারাপ সময়টা পার করছি। আমরা এটা কাটিয়ে ওঠার কাজ করছি। আমার কথা বলছি না। পুরো দলের কথাই বলছি। সংবাদ সম্মেলনে নিজের কথা বলি না, দলের কথাই বলি। আমাদের দলের কেউ ১০০, ২২০ কিংবা ৩০০ রানও করতে পারে। কথা দিলাম কেউ-না-কেউ এবার বড় ইনিংস খেলবে ইনশা আল্লাহ।’
বিশ্বকাপের পর থেকে সবশেষ পাকিস্তান সিরিজেও বিসিবি সভাপতিকে যে গেমপ্ল্যানের কথা জানানো হয়েছে, ম্যাচে সব হয়েছে উল্টো। অথচ পরিবর্তনের কথা জানানো হয়নি বিসিবি সভাপতিকে। গতকাল টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল অবাক করে জানালেন, এসব পরিকল্পনা বিষয়ে বোর্ড সভাপতির সাথে কোনো কথাই হয়নি। ‘আমি তো এই কমেন্টটা আসলে শুনিইনি উনার কাছ থেকে। হয়তো আপনাদের বলছে আমি তো শুনিনি। সুতরাং এটা নিয়ে কমেন্ট করা ডিফিকাল্ট।’

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল