২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখতে পাইনি : দুর্জয়

নাইমুর রহমান দুর্জয় -

গত বছর ৯টি টি-২০ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিতেছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের মাটিতে এসে বাবর আজমদের নাকাল করে তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানকে রীতিমতো ধবলধোলাই করে গেছে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল নামধারী দ্বিতীয় সারির দলটি। আর সেখানে বাংলাদেশ প্রায় পুরো শক্তির দল নিয়ে জেতার বদলে উল্টো পথে হাঁটছে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ম্যাচে জেতা বহু দূর, এতটুকু লড়াইও করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ, তামিম, লিটন, সৌম্য ও মুস্তাফিজরা। অথচ প্রায় এই দলটিই গত নভেম্বরে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রায় সমানতালে লড়ে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয়ের রেকর্ডও আছে।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়ের কাছে প্রশ্ন রাখা হলো, তাহলে এখন কেন পারছে না বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং না থাকাকেই দুষলেন তিনি। তার কথায়, ‘অবশ্যই আশা করতেই পারি আমাদের টিম ভালো খেলুক, হঠাৎ করে গিয়ে পাকিস্তানের কন্ডিশনে আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরা স্ট্রাগল করেছে, আসলে রানটা কম হওয়াতে এই বিপর্যয়। টি-২০ যেই অ্যাগ্রেসিভনেস সেটি লক্ষ করা যায়নি। ডটবল এ কারণেই হয়েছে যে আমরা অ্যাগ্রেসিভ ছিলাম না। একটু অ্যাগ্রেসিভ হলে রানটা বেশি হলে ম্যাচ হয়তো আমাদের হাতেই থাকত। দুই ম্যাচের একটিতেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখতে পাইনি।’
তামিম ইকবাল দুই ম্যাচেই রান পেয়েছেন। প্রথম দিন ৪৩ আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৬। দলের প্রয়োজনে তামিম রয়ে-সয়ে খেলে একদিক আগলে রাখার কাজ করছেন। সেটা দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজও করেছেন। ইনিংসের মাঝামাঝি মানে ২৫-৩০ রান পর্যন্ত ১০০-এর আশপাশে স্ট্রাইকরেটে পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে তারপর এক সময় হাত খুলে মেরে রানের চাকা সচল করে ১৪০ স্ট্রাইকরেটে শেষ করেছেন। তা ছাড়া অনেক লিজেন্ডরা উইকেট নিয়েও মন্তব্য করেছেন।
এসব কোনো কিছুই দৃষ্টি এড়ায়নি সাবেক এই ক্রিকেটারের, ‘টি-২০ ফরম্যাটের সাথে ব্যাটিংটা মোটেই যুৎসই হয়নি। যেকোনো মানদণ্ডে অনেক স্লো। আমাদের রান আরো বেশি হতে পারত। অবশ্যই দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে জয়ের জন্যই মাঠে নামতে হবে। কন্ডিশন যাই হোক প্রফেশন প্লেয়ারদের সেটি মাথায় রেখেই খেলতে হবে। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট জ্বলে উঠতে পারছে না। যে পরিমাণ রান থাকলে লড়াই করা সম্ভব, চ্যালেঞ্জ দেয়া সম্ভব, সে পরিমাণ রান হয়নি। দুই ম্যাচে আমরা ১৪০ ও তার নিচে থাকছি। অন্তত ১৬০ থেকে ১৭০ রান করতে না পারলে তাদের মাটিতে চাপে ফেলা এবং জয়ের সম্ভাবনা জাগানো কঠিন।’
পাকিস্তানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও এটিকে একটু বেশিই বলে মনে করছেন দুর্জয়, ‘সিকিউরিটি ভালো। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমার মনে হয় বেশি সিকিউরিটি দেয়া হচ্ছে। যেটার কারণে খেলোয়াড়রা হয়তো মানসিক চাপে থাকতে পারে। সাধারণত যখন আপনি মাঠে যাবেন খেলবেন মাইন্ড ফ্রি থাকা খুব জরুরি। সে ক্ষেত্রে এত সিকিউরিটি অবশ্য একটা প্রতিবন্ধকতা।’


আরো সংবাদ



premium cement