০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মহিলা লিগ ট্রফিও চায় বসুন্ধরা

ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বাফুফে ভবনে দলবদল করতে আসা বসুন্ধরা কিংসের সাবিনা, সানজিদা, মৌসুমী, মারিয়া ও মনিকা : মোহাম্মদ শরিফ -

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো মহিলা ফুটবল লিগের দলবদলেও এক চিত্র। শেষ দিনে এসে তৎপর ক্লাবগুলো। গতকাল এই শেষ দিনে এসে জানা গেল এবারের মহিলা লিগ হবে আট দলকে নিয়ে। আগে যা প্রথমে ছিল ছয় দল। পরে সাত দল। অন্য সাত দলের চেয়ে সব দিকেই ব্যতিক্রম বসুন্ধরা কিংস। অর্থ এবং অবকাঠামোগত সব দিকেই। কাল দলবদলেও তাদের আগমন ভিন্নতার স্বাক্ষর রাখে। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে আর ব্যান্ড পার্টির ব্যাপক আয়োজনে ক্লাবটির ফুটবলারদের রেজিস্ট্রেশন করাতে আসা। অন্য দলগুলো সাদামাটাভাবে বাফুফে ভবনে এসেছে ফুটবলার নিবন্ধন কারতে। এই দলবদলে এসে বসুন্ধরা কিংস সভাপিত ইমরুল হাসান জানান, ‘আমরা মহিলা লিগের চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। লিগ শিরোপা জয়ের মাধ্যমে এএফসি মহিলা লিগেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্য আমাদের।’ ছয় বছর পর ৩১ জানুয়ারি থেকে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এই আট দলের ডাবল লিগের খেলা শুরু হবে। বাফুফের নিয়ম, কোনো দল ২৩ জনের বেশি ফুটবলারকে নিতে পারবে না। বসুন্ধরা কিংসও সে আইন মেনে জাতীয় দলের ১৯ ফুটবলারসহ মোট ২৩ খেলোয়াড়কে দলে টেনেছে। এদের পারিশ্রমিক দুই থেকে পাঁচ লাখের মধ্যে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন পাচ্ছেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। শেষমুহূর্তে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ওয়ালটন এবং শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র সরে পড়ায় মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা এবং রুপনা চাকমাদের এবারের লিগে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। পরে বসুন্ধরা কিংস এ তিন ফুটবলারকে দলভুক্ত করে।
গত বছরের জুন থেকে মহিলা লিগের জন্য ক্লাবগুলোর কাছে এন্ট্রি আহ্বান করে বাফুফে। তেমন সাড়া না পাওয়ায় বারবার লিগের দলের সংখ্যার পরিবর্তন। দেশের ক্লাবগুলোর মধ্যে অর্থকড়ি বেশি ঢাকার ক্লাবগুলোরই। বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর। অথচ দুঃখজনকভাবে বিপিএলের একমাত্র বসুন্ধরা কিংস ছাড়া আর কোনো দলই মহিলা লিগে খেলছে না। ফলে ঢাকার বাইরের ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিত্ব এবারের লিগে। ইমরুল বলেন, ‘অন্য দলগুলো না খেললে তো লিগই হতো না। আর প্রিমিয়ারের একমাত্র আমরাই এই লিগে অংশ নিচ্ছি।’ বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরনের বক্তব্যÑ ‘মহিলা ফুটবলে আজ স্মরণীয় একটি দিন। আশা করি, এই মেয়েরা একদিন বসুন্ধরার মাধ্যমে এএফসির ক্লাব ফুটবলে খেলবে।’
এ নিয়ে টানা তিন লিগ খেলতে যাচ্ছেন স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুন। ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালে ছিলেন। ২০১৩ সালে ছিলেন বিজেএমসিতে। মাঝে মালদ্বীপ ও ভারতের লিগে খেলেছেন। এবার তার টার্গেট সম্পর্কে জানান, ‘আমরা বসুন্ধরা কিংসকে ট্রফি উপহার দিতে চাই।’ ২০১৩ সালে আরামবাগের হয়ে খেলা কৃষ্ণারানী সরকার এবার বসুন্ধরায়। তার লক্ষ্য ভালো খেলা। একই দলের তহুরা খাতুন প্রথম লিগ খেলতে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৪০ গোল করা এই স্ট্রাইকার যোগ করেন, ‘আমি লিগেও গোলের মধ্যে থাকতে চাই।’
কাল দলবদল করতে আসা সুনামগঞ্জের আক্কেলপুর ফুটবল অ্যাকাডেমির ফুটবলার তমা রানীর মতে, ‘আমরা এই লিগে খেলে বড় দলে যেতে চাই ভবিষ্যতে।’ নাসরিন স্পোর্টস অ্যাকাডেমির নাসরিন জানালেন, তার দলের খেলোয়াড়দের তেমন পারিশ্রমিক দেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।
বসুন্ধরার ফুটবলাররা : সাবিনা, রুপনা, মাহমুদা, রওশন, মাসুরা, মৌসুমী, নার্গিস, আরিফা, কৃষ্ণা, সানজিদা, মনিকা, মারিয়া, বড় শামসুন্নাহার, ইতি, রঞ্জনা, প্রান্তি, নীলা ও রিপা।

 


আরো সংবাদ



premium cement