৫ বছর নিষিদ্ধ শাহাদাত রাজিব
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আবারো সংবাদ শিরোনামে শাহাদাত রাজিব। এবার পাঁচ বছরের জন্যও নিষিদ্ধ হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এ পেসার। জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) শেষ মুহূর্তে এসে এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অপরাধে ওই শাস্তি পেয়েছেন তিনি। এমন শাস্তিতে এ পেসারের ক্যারিয়ার মূলত শেষ হয়ে গেল! রাজিবের বয়স এখন ৩৩। পাঁচ বছরের স্থানে চার হলেও তার বয়স দাঁড়াবে ৩৭। আর পাঁচ বহাল থাকলে ৩৮। একজন পেসার দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থেকে তাও ওই বয়সে আর মাঠে ফিরবেন, ফিটনেস ধরে রাখবেন। পারফরম্যান্স করে দল পাবেন। এগুলো অনেকটাই অসম্ভব। ফলে রাজিবের ক্যারিয়ারই শেষের শঙ্কা, এমন শাস্তিতে।
আসলে ঘটনা রাজিবকে ছাড়ছেই না। আরো একবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। জেলেও যেতে হয়েছিল তাকে সেবার। শিশুগৃহকর্মীকে প্রচণ্ডরকম প্রহার করে রাস্তায় ফেলে রেখেছিলেন। সেখান থেকে তুলে অন্য একজন শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে সেবা শুশ্রƒষা করে সারিয়ে তোলার পাশাপাশি শাহাদাত রাজিবের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন আইনে মামলাও করেন। এতে তাকে আটক করে পুলিশ। জেলেও যেতে হয়েছে তাকে এবং তার স্ত্রীকেও। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। এরপর মীমাংসার মাধ্যমে সব ঝামেলা চুকিয়ে ফেলেন। বিসিবি ও জাতির কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করেছিলেন। বিসিবিও তাকে জীবিকার তাগিয়ে ক্ষমা করে খেলায় ফেরার অনুমতি দেয়। এবার নতুন আর এক ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত খুলনা শেখ নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন। স্পিনার আরাফাত সানির সাথে বল শাইনিং করা প্রসঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাজীব চড়াও হন আরাফাত সানির ওপর। শাহাদাত শারীরিক নাজেহাল করে আরাফাতকে। প্রথমে আম্পায়ার তাকে বিরত করলেও পরবর্তীতে আবারো তিনি আক্রমণ করেন। পরে সতীর্থরা তাকে সরিয়ে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটি বসে সব ঘটনার পর্যালোচনা করে শাহাদাত রাজিবকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেন। একই ঘটনায় সংযুক্ত থাকায় মোহাম্মাদ শহীদকে তার ম্যাচ ফির ৫০ ভাগ জরিমানা করা হয়েছে। খেলা চলাকালে কারো গায়ে হাত তোলা বা শারীরিকভাবে নাজেহাল করা আচরণবিধি লেভেল ৪ এর অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ করলে সর্বনি¤œ এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধের বিধান রয়েছে। তবে রাজিবের ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলেও তিনি আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত আপিলের সুযোগ পাবেন। টেকনিক্যাল কমিটির প্রতিনিধি, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার আগেও এমন অভিযোগ ছিল, শাস্তিও পেয়েছিলেন। এরপর অবারো এমন ঘটনায় কমিটি আগের ঘটনাও আমলে নেয়। এতে সর্বসম্মতিতে কমিটি ওই সিদ্ধান্তে ঐকমত্য হয়েছে। এ শাস্তি সব ক্রিকেটারের জন্য একটা মেসেজও। অপরাধ করলে কাউকেই ছাড় নয়।’
৩৮টি টেস্ট ও ৫৮টি ওয়ানডে, ছয়টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি জাতীয় দলের হয়ে। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে হয় ডেব্যু। মুশফিক ও তার একই সাথে ডেবু হয়েছিল লর্ডসে। ওই লর্ডসেই ২০১০ এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইংলিশ পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। তার সেরা বোলিং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৭ রানে ৬ উইকেট প্রাপ্তি ঢাকা টেস্টে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা