আলোচনায় কোচ কর্মকর্তা অধিনায়ক
ঘাসের উইকেটে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
চট্টগ্রামে টেস্ট ম্যাচ, উইকেট কেমন হবে? টাইগারদের দলইবা কেমন হবে? কোন পজিশনে কে দক্ষ? আফগানিস্তানের শক্তিশালী দিক কোনটি? দুর্বলতা কোথায়? এসব প্রশ্নমালা সাজিয়ে এই সিরিজের রণনীতি ঠিক করতে বসেছিলেন বাংলাদেশের নতুন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, নির্বাচক হাবিবুল বাশার ও টিম অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধানদের অন্যতম এ পাঁচজনের আলোচনার এজেন্ডা ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। আপাতত একমাত্র টেস্ট সিরিজের মধ্যেই রইল সেই আলোচনা।
বিশ্বকাপের পরে ক্রিকেট থেকে ছুটিতে ছিলেন সাকিব আল হাসান। অসাধারণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে ওঠার পথে রেখেছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে এসে লঙ্কান সিরিজে ছুটি নিয়ে মাকে নিয়ে পবিত্র হজব্রত পালন শেষে দেশে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। ছুটিতে থাকাকালীন নিয়োগ দেয়া হয় বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে। যে কারণে সাকিবের দেখা হয়নি নতুন কোচের। ঠিক তেমনি কোচের সাথে দেখা হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনেরও। গতকাল দুজনেরই দেখা হয়ে গেল ক্রিকেট অপারেশন্স আকরাম খানের অফিসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও।
প্রথম বৈঠকে বড় একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজের উইকেট নিয়ে আকরাম খান যা বললেন, তার অর্থ দাঁড়াচ্ছেÑ বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টে আফগানিস্তানকে পেস উইকেটে স্বাগত জানাবে! দীর্ঘ সময় ধরে সেই আলোচনা শেষে আকরাম খান সাংবাদিকদের জানালেন, ‘সামনের মাসে আমাদের টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই টেস্ট সিরিজ নিয়ে আমরা কোচ-অধিনায়ক-নির্বাচকদের সবাই একসাথে বসে আলাপ-আলোচনা করলাম। দলের শক্তি কিভাবে আরো বাড়াতে হবে? কোন রণনীতি নিয়ে খেলতে হবেÑ এসব নিয়ে আমরা বেশ সফল একটা আলোচনা করেছি। সামনের সময়েও এমন আরো বৈঠক হবে।’
ক্রিকেট অপারেশন্স আকরাম বলছিলেন, ‘উইকেটে হয়তো তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি এই সিরিজে যেন ট্রু উইকেট হয়। ফাস্ট বোলাররা যাতে সুবিধা পান। উইকেটে যেন ঘাস থাকে সেই চেষ্টা করছি। বলতে পারেন, আমাদের তেমন ফাস্ট বোলার নেই। কিন্তু তাই বলে বসে থাকলে তো চলবে না। আমাদের তো শুরু করতেই হবে। নাই বলে যে আমরা পুরোপুরি চুপচাপ থাকব তাও কিন্তু না। গত দুই বছর ধরে আমরা উইকেট অনেক উন্নত করেছি। আমাদের পেসার সংখ্যায় অনেক বাড়ছে। দেশের বাইরে খেলতে গিয়ে আমাদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য ঘরের মাঠের উইকেটগুলো ভালো করার চেষ্টা করছি।’
টাইগারদের নির্বাচক, কোচ ও অধিনায়কের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সার্বিক দিক প্রসঙ্গে আকরাম খান জানালেন, ‘খেলাটা যেহেতু হোমে। তাই আমাদের রণনীতি তৈরির একটা বাড়তি সুবিধা আমরা অবশ্যই পাব। সে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। অধিনায়ক কী চান। নির্বাচকরদের পরিকল্পনা কেমন এই সিরিজকে ঘিরে? কার কী চাহিদা সেটা নিয়ে সবাই নিজ নিজ মতামত রেখেছেন। টিম অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ওদেরকে কতখানি সহায়তা করতে পারবÑ এসব বিষয়ের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সদ্য নিয়োগ পাওয়া কোচের কাজের ধরন এবং ক্রিকেটীয় চিন্তাচেতনায় সন্তোষ প্রকাশ করে আকরাম জানান, ‘কোচের চিন্তাধারা অনেক ভালো। খেলোয়াড়, অধিনায়ক, বোর্ড পরিচালক হিসেবে অনেক কোচের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। একসাথে কাজ করেছি। তবে ডমিঙ্গোর ক্রিকেটীয় চিন্তা ও পরিকল্পনা বাকিদের চেয়ে অনেক ভিন্ন। বিসিবি যদি এই ক্রিকেট কোচকে সঠিক মতো সহায়তা দিতে পারে, তবে আমি আশবাদী বাংলাদেশের ক্রিকেট মান আরো অনেক বাড়বে। কোচ জানিয়েছেন, শুধু হোম না আমরা যাতে অ্যাওয়ে সিরিজেও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি সেজন্য কোন ধরনের সমাধানের পথে যাওয়া উচিত সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা