২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৈকতে সুনামি

-

কেউ একজন বলছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এমনই। আবাহনীর হয়ে ছয়-সাতে নেমে ধুম ধাড়াক্কায় চমৎকার ফিনিশিং দিতে ওস্তাদ। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ডাবলিনে সেটিরই কিছু ঝলক দেখা গেল।
অথচ ফাইনালে একাদশেই থাকার কথা ছিল না তার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন নিয়মিত একাদশের খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজকে বিশ্রাম দেয়ায়। সেই ম্যাচে ব্যাট করারই সুযোগ পাননি। তবে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচে অনাকাক্সিক্ষত ইনজুরিতে পড়লে শেষ পর্যন্ত বিকল্প স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে ফাইনালের একাদশে ঢুকেন মোসাদ্দেক। অপ্রত্যাশিত সুযোগে এমন এক ইতিহাস গড়বেন, সেটা সম্ভবত নিজেও ভাবতে পারেননি ডান হাতি এই অলরাউন্ডার।
বৃষ্টির বাধার পর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালটা হয়ে যায় ২৪ ওভারের ম্যাচ। বৃষ্টির আগে ২০ ওভারে বিনা উইকেটে ১৩১ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদবাকি চার ওভারে করতে পারল আরো ২১ রান। জেসন হোল্ডারের দল ১৫২ রান করলেও বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪ ওভারে ২১০ রান।
দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার শুরু করেন ঝড়ের গতিতে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তামিমের আউটের পর সাব্বিরও বিদায় নেন। মাঝখানে দারুণ একটা জুটির পর সৌম্য ও মুশফিক দু’জনই বিদায় নেন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে দলীয় ১৪৩ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোহাম্মদ মিঠুন আউট হলে শঙ্কার মেঘ দেখা যায় বাংলাদেশ শিবিরে। উইকেটে তখন ম্যাচ জেতানোর অভিজ্ঞতা থাকা ভরসা হয়ে ছিলেন অভিজ্ঞ রিয়াদ। একপর্যায়ে জয়ের জন্য ২৪ বলে ৩৯ রানের প্রয়োজন হয়।
ইতিহাস গড়ার ম্যাচে পার্শ্বনায়ক হয়ে থাকতে চাননি সৈকত। তাকে কেন বিশ্বকাপ দলে নেয়া হয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। সুযোগ পেয়ে প্রথম ফাইনাল জয়ের ম্যাচে সুনামি বইয়ে সমালোচনার জবাব দেয়ার মোক্ষম উপলক্ষ বানিয়ে ফেলেন। মাত্র এক ওভারে ম্যাচকে বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসেন। বাঁ-হাতি স্পিনার ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের করা ২২তম ওভারে ২৫ রান নিয়ে জয়টাকে হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে আসেন। সেই ওভারে মাত্র ২০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটাও নিজের করে নেন এই অলরাউন্ডার। রিয়াদের সাথে অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানের জুটি গড়ার পথে ২৪ বলে ৫২ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত সাত বল বাকি থাকতেই কঠিন লক্ষ্যটাকে তাড়া করে পাঁচ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা।
ম্যাচ জেতার পর তার অনুভূতি ছিল, ম্যাচ জেতা কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। তাই বিশ্বাস হারাননি। আর মাঠে নামার আগে অধিনায়ক মাশরাফির অনুপ্রেরণা তো ছিলই। দলীয় অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞ সৈকত বলেন, ‘উইকেটে যাওয়ার আগে মাশরাফি ভাই বলছিলেন, সৈকত তুই পারবি। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলে ম্যাচ শেষ করে আয়।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের

সকল