২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কস্তার গোলে ইরানকে হারাল স্পেন

-

৬২ মিনিটের গোল যদি টিকে যেত তাহলে স্পেন, ইরান তো বটেই গোটা ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচ নিয়ে চলত অনেক হিসাব-নিকাষ। এখনো কমে গেছে সেটা নয়। স্পেন ইরানের মধ্যকার ৬২ মিনিটে ইরানের আনন্দ ও বেদনার মুহূর্ত। প্রথম গোলের উল্লাসধ্বনিতে ইরান যখন আকাশে উড়ছিল, তখনই রেফারি ভিএআরের সাহায্য চেয়ে শেষ পর্যন্ত গোল বাতিলের ঘোষণায় হতাশা। টিকে রইল ওই সময় স্পেনের কস্তার দেয়া ৫৪ মিনিটের গোল। অর্থ স্পেন ১-০তে এগিয়ে থেকে ওই ব্যবধানেই জয় তুলে নিলো ম্যাচে। তবে ইরানের রক্ষণদুর্গ ভেদ করতে স্পেনের ঘাম ছুটেছে। অ্যাটাকিং ছক এঁকে খেললেও ইরানের সেটা থাকেনি। খেলেন তারা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে। একটা দল রক্ষণাত্মক খেললে সেখানে গোল বের করা মুশকিল। স্পেন সে বিপদেই ছিল। কিন্তু আগের ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল যে স্পেন, তাদের তো জয় প্রয়োজন। তাই তো ম্যাচের বেশির ভাগ সময় ইরানি সীমান্তেই ছিলেন তারা। বারবার গোল পোস্টের সামনে যেতে নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করেছেন ইনিয়েস্তা-কস্তারা। খেলার ৫৪ মিনিটেই সফল হন তারা প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর। ইনিয়েস্তার কাছ থেকে বল কিয়ার করতে যেয়ে ইরানি রক্ষণভাগের একজন বল ঠেলে দেন কস্তার পায়ে। মুহূর্তে সেটা জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন। স্পেন ১-০। এরপর ইরানও পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিল। যে গোলের কথা ৬২ মিনিটে উল্লেখ করা হয়, সেটাতে অবশ্য অফসাইড ছিল পরিষ্কার। এর আগে ৪৯ মিনিটেও একবার সুযোগ পেয়েছিল ইরান। রক্ষণদুর্গ সামলাতে সামলাতে পাল্টা আক্রমণে যেয়ে ওই অ্যাটাক করলেও সেটা মিস হয় অল্পের জন্য।
ম্যাচটা ড্র হলে ইরানের পয়েন্ট হয়ে যেত ৪। আর স্পেনের ২। এতে স্পেনের জন্য প্রথম রাউন্ড পার হওয়া টাফ হয়ে যেত। ম্যাচ শেষে স্পেনের ম্যানেজার ফার্নান্দো হিরো বলেন, ‘কী আর বলব। আমাদের তিন পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল। সেটা আমরা পেয়েছি। আমি আগেই বলেছিলাম এ ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই ক্রুশিয়াল একটা ম্যাচ। একই অবস্থা প্রতিপক্ষ দলেরও। কারণ তারা ছিল আমাদের চেয়েও অ্যাডভান্টেজে। সত্যিই এটা খুবই উত্তেজনাকর একটি ম্যাচ হয়েছে।’ প্রথমার্ধেই ইরানের পরিকল্পনা বুঝে গিয়েছিলেন স্পেনের বস। তিনি বলেন,‘ওদের রক্ষণাত্মক ভূমিকা থেকে মাঝের ব্রেকে আমি খেলোয়াড়দের সেভাবে ব্রিফ করি।’ স্পেনের বস প্রশংসা করেন ইরানেরও। তিনি বলেন, ‘ইরান খুবই টাফ একটা দল। তাদের বিপক্ষে গোল করা অসাধ্য সাধনের মতো। কিন্তু আরেকবার আমার ছেলেরা প্রমাণ করল, প্লান নিয়ে খেললে সব বাধা অতিক্রম করা যায়। আমি আমার ছেলেদের পারফরম্যান্সে খুশি।’ ম্যাচে স্প্যানিশরা সব দিক থেকেই ছিল এগিয়ে। গোটা ম্যাচের ৭৮% খেলাই ছিল তাদের দখলে। পক্ষান্তরে ইরানিরা বলের দখলে ছিল ২২% ভাগ সময়। ইরান ঠাণ্ডা মাথায় তাদের ড্র করার মানসিকতা পূরণে চেষ্টা করায় তাদের অর্ধে এসে বেশির ভাগ সময় স্প্যানিশরা খেললেও মাথা গরম করেনি। দু’দল ফাউল করেছে সমান ১৪টি করে। স্বাভাবিক স্পেন কর্নার পায় এতে বেশি। ছয়টি কর্নার লাভ করেও সুবিধা করতে পারেনি তারা। পাল্টা অ্যাটাকে যেয়ে ইরানও দু’বার লাভ করেছিল কর্নার।

 


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু

সকল