০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঠোঁটের পরিচর্যা : রূপ কথা

-

শীতকাল তো বটেই যতেœর অভাবে গরমের সময়ও ঠোঁট ফাটতে দেখা যায় কারো কারো। তাই লক্ষ রাখতে হবে যেন আপনার ঠোঁট থাকে সুস্থ। ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ রুক্ষতা। ঠোঁটের যতœ কিভাবে নেবেন সে বিষয়ে রইল কিছু পরামর্শ।
ঠোঁট ভেজাবেন না : শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকে বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজান। এর ফলে ঠোঁট থেকে আর্দ্রতা দ্রুত চলে যায়। ফল হিসেবে ঠোঁট আরো শুকনো হয়ে ওঠে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্য পেলেও ঠোঁটে বড় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
লিপবাম ব্যবহার করুন : লিপবাম ঠোঁটের ত্বকের ওপর এক ধরনের প্রতিরক্ষা তৈরি করে, যা ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সূর্যের আলো থেকে ঠোঁট রক্ষা করবে লিপবাম। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে ত্বকের মতো ঠোঁটেরও ক্ষতি হয়। সানস্ক্রিনসমৃদ্ধ লিপজেল বা লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটের রুক্ষতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব সময় ক্রিম বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগেও ঠোঁটের পরিচর্যা করতে হবে। এ সময় পুরু করে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ভেজা নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে ঠোঁট মুছে নিন। এতে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে আসবে। ঠোঁট হয়ে উঠবে সতেজ এবং কোমল।
লিপস্টিকের ব্যবহার : লিপস্টিক শুধু সাজের উপকরণ হিসেবেই নয়, ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। শুধু সূর্যের আলট্রা ভালোলেট রশ্মি থেকে রক্ষার জন্য নয়, ঠোঁট আর্দ্র রাখতেও ভালো ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে লিপস্টিক। যাদের ঠোঁট শুষ্ক তারা ময়শ্চারাইজারসমৃদ্ধ লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
গ্লিসারিন ও গোলাপজল : ত্বকের মতো ঠোঁটের সুরক্ষায় গ্লিসারিন ও গোলাপজল চমৎকার উপকরণ। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক যেমন উজ্জ্বল পেলব হয়ে ওঠে, একইভাবে ঠোঁটও হয়ে ওঠে নরম, চকচকে। সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। প্রতিদিন কয়েকবার এটি ব্যবহার করুন।
মধু ও দুধের সর : ঠোঁট আর্দ্র রাখতে মধুর কোনো বিকল্প নেই, ঠিক তেমনি দুধের সরও ঠোঁটে আর্দ্রতা ও ঠোঁটের ত্বক নরম, মসৃণ করে। তাই প্রতিদিন মধু ও দুধের সর মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
ছবি : পারসোনা


আরো সংবাদ



premium cement