২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দূর করুন হতাশা রঙের ফিচার

-

রায়হান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র অফিসার। অফিসের একটি প্রজেক্টের দায়িত্ব পেয়ে এক মাস ধরে প্রচণ্ড পরিশ্রম করার পরও প্রজেক্টটি শেষ করতে পারছে না। কিছুতেই গুছিয়ে উঠতে পারছে না। সে ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছে। কাজ করতে না পারলে তার ক্যারিয়ারের জন্য বিষয়টি ভালো হবে না। বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা আসছে সব সময়। ক্রমেই সে যেন হতাশ হয়ে পড়ছে। হতাশা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ ধরনের পরিস্থিতি হলে দ্রুত এর থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। কী করবেন জানানো হলো সে বিষয়ে :
ষ জীবনের সব কাজে সফলতা আসবে, তেমন হয় না; বরং সফলতার চেয়ে ব্যর্থতাই আসে বেশি। শুধু কর্মক্ষেত্র নয়, বাড়িতেও নানা কাজে ব্যর্থতা আসতে পারে। তখন একরাশ ব্যর্থতা ঘিরে ধরে। নিজেকে মনে হয় অযোগ্য। কিন্তু হতাশায় ডুবে গেলে অন্য কিছু করা সম্ভব হয় না। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে নিজেকেই বের হয়ে আসতে হবে।
ষ মনে রাখতে হবে ব্যর্থতা ও সাফল্য দুটোই জীবনে আসতে পারে। পাওয়ার সাথে সাথে না পাওয়ার অনুভূতিগুলোও উপলব্ধি করা দরকার। তবে কখনো ব্যর্থতাকে নিজের ওপর চেপে বসতে দেবেন না। কেন ব্যর্থ হলেন, সারাক্ষণ সেটি নিয়ে না ভেবে বরং এর থেকে বেরিয়ে আসুন। রাগ, দুঃখÑ এগুলো মনের মধ্যে চেপে না রেখে অন্যের সাথে শেয়ার করুন। মনের জোর ফিরিয়ে আনুন।
ষ ব্যর্থতার পর মন খারাপ হতেই পারে। সেই সময়টা নিজেকে একটু বেশি সময় দিন। একা বা কাছের বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। বই পড়া, গান শোনা বা নিজের ব্যক্তিগত কোনো শখ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও মন ভালো থাকবে।
ষ শুধু ব্যর্থতা নিয়ে না ভেবে যদি সুযোগ থাকে তাহলে সফলতার সম্ভাবনাগুলো নিয়েও ভাবুন।
ষ হতাশার কারণে খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম নেয়া ছেড়ে দেন অনেকে। সেটা করা কখনো ঠিক নয়। ইচ্ছে না থাকলেও নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, এক্সারসাইজ কোনোটা বাদ দেবেন না। মেডিটেশনও করতে পারেন।
ষ পুরো ঘটনাটি ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। এতে মন অনেকটা হালকা লাগবে। তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো, কিছু দিন কেটে যাওয়ার পর ডায়েরিতে লেখা ঘটনা ভালো করে পড়লে পুরো ব্যাপারটা নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন, কোথায় ভুল হয়েছে। কোন কর্মপদ্ধতি মেনে চলায় সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি খুঁটিনাটি অনেক স্বচ্ছভাবে বুঝতে পারবেন।
ষ অফিসে বা বাড়িতে নিজের ভুলগুলো পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করুন। পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা অফিসের অভিজ্ঞ কর্মচারীদের সাথে মিটিং করেও ব্যাপারটা নিয়ে পর্যালোচনা করতে পারেন। নিজের ভুলগুলো মেনে নিন। আর কোথায় কী ভুল হলো, সেটাও ভালো করে বুঝে নিন।
ষ নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন। সেটা খুব ছোটখাটো বিষয়ও হতে পারে। যেমন নতুন কিছু রান্না করার চেষ্টা করুন বা সৃজনশীল কোনো কাজ করার চেষ্টা করুন। এতে আপনি ব্যস্ত থাকবেন এবং নতুন করে প্রেরণা পাবেন।
ষ অসফলতা মানুষকে যেকোনো কাজ করতে অনাগ্রহী করে তোলে। কোনো দায়িত্ব নিতে ভয় পায়। কিন্তু এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন করে দায়িত্ব নিতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে নতুন দায়িত্ব নিয়ে।


আরো সংবাদ



premium cement