২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার ছাত্রলীগের

-

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ওই শিক্ষার্থী হলের ছাদ থেকে নামতে গিয়ে পড়ে আহত হয়েছে এবং গণমাধ্যমে যা অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন ছাত্রলীগ। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তারা।
মারধরের শিকার আব্দুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর তার চোখের কোণে গুরুতর জখম অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চোখের কোণে চারটি সেলাই লেগেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ওই রাতে আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী হলের ছাদে বহিরাগত কয়েকজন ছাত্রদের নিয়ে মাদকসেবন করছে এমন তথ্য মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগকে জানালে তারা বক্ল ‘ক’ এর ছাদে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় যে, ‘খ’ বক্লের ছাদে কয়েকজন মাদক সেবন করছে। তাদেরকে নিচে নামতে বললে মাদক সেবনকারীরা ভয়ে পালাতে শুরু করে এবং বহিরাগত একজন তার সাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।
তাদের মধ্যে একজন মাদকাসক্ত আব্দুর রহমান সিঁড়ি দিয়ে পালাতে গিয়ে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমতাবস্থায় তাকে অতিথি কক্ষে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় বিষয়টি হল প্রশাসন ও হলের গেট পুলিশকে অবহিত করা হয়। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বলা হয় তাকে আপাতত পুলিশে না দিয়ে চিকিৎসা করাতে। পরবর্তীতে প্রাধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশে মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, মিজানুর রহমান সিনহা, মাহফুজ আল-আমিন ছাড়াও ঘটনায় অভিযুক্ত আসাদুল্লাহিল গালিব, আব্দুল্লাহ হীল কাফি ও শুভ্র দেব উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত রোববার ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন, ‘যতোবারই আমি মাদক সেবন করিনি বলেছি ততোবারই ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহিল গালিব, সহ-সম্পাদক আব্দুল্লা হীল কাফি ও কর্মী শুভ্র দেব আমার ওপর চড়াও হয়েছে। আমাকে স্ট্যাম্প ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আমার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। গাঁজা সেবনের বিষয়টি স্বীকার না করলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। ভয়ে আমি বিষয়টি স্বীকার করি। তারা সেটি ভিডিও করে। পরে তারা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে রেখে চলে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement