২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গুগল ফেসবুক টুইটারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ!

-

সম্প্রতি টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, গুগলে ট্রাম্প নিউজ লিখে সার্চ করলে শুধু নেতিবাচক খবরই দেখানো হয়। তারা আমার ও অন্যদের েেত্র সাজানো ফলাফল দেখায়। গুগল ছাড়াও ফেসবুক এবং টুইটারের নাম উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, তারা মানুষের সাথে এমন করতে পারে না। তাদের বিষয়ে আমাদের কাছে হাজার হাজার অভিযোগ আসছে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি ট্রাম্প। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বিশ্বের জনপ্রিয় প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে পপাতের অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। এই তিন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, মার্কিন ইন্টারনেট জায়ান্টগুলো অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। অনেক মানুষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে গুগল। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বর্তমানে ট্রাম্প নিউজ লিখে সার্চ করলে, যেসব ফলাফল দেখানো হয়, তার ৯৬ শতাংশই বামপন্থী গণমাধ্যমের। যদিও এমন দাবির পে ট্রাম্প কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করেননি।
এই অভিযোগের জবাবে গুগল জানিয়েছে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তাদের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয় না। কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শে তারা পপাতদুষ্ট নয়। কিংস লন্ডন কলেজের ডিজিটাল টেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক মার্সিডিজ বুনজ বলেন, রাজনৈতিক পপাত অনুযায়ী নিউজের র‌্যাংকিং করে গুগল, এমনটা প্রায় অসম্ভব। কারণ, গুগলের নিউজ অ্যালগরিদম নৈকট্য ও বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে সামনে আসে, কোনো রাজনৈতিক ভাবাদর্শে নয়। তবে যে নিউজ মানুষ বেশি পড়ে, তার লিঙ্কটা অনেক সময় সামনে চলে আসে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের দাবির তেমন ভিত্তি নেই। তিনি কিভাবে ব্যবস্থা নেবেন, তাও স্পষ্ট নয়। তবে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টা হলে, তা মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন হবে।
স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন অ্যাড্রেস প্রচার করেনি গুগল, তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এমন অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে গুগল। স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন অ্যাড্রেস হচ্ছে প্রথম বছর বাদে অন্য বছরগুলোতে রাষ্ট্রের বাজেট ও অন্যান্য দিক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্ষিক বক্তব্য। গুগল ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সবসময়ই তার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। অভিযোগ আছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া যে হস্তপে করেছে তাতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তেেপর বিষয়ে স্যা দিতে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চক সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে হাজির হতে বলা হয়েছিল ফেসবুক, টুইটার ও গুগলকে। মূলত তখন থেকেই এই তিন প্রযুক্তি জায়ান্টের ওপর নাখোশ ট্রাম্প।


আরো সংবাদ



premium cement