২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিমত : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে

-

আবারো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের অশুভ তৎপরতা না করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে পরীক্ষা করা হোক জনগণ কাকে ক্ষমতায় বসায়। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের তার বক্তব্যে বারবার উচ্চারণ করেনÑ আমাদের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। দেশের জনগণ নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না। তার এ বক্তব্য হাস্যকর নয়? আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস যদি জনগণই হয়ে থাকে তাহলে তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে কেন? ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তারা জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়নি কেন? ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রহসন কেন তারা করল? কেনই বা তারা ক্ষমতা কব্জা করার পর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন? সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে কেন তাদের অনীহা? এসব পদক্ষেপ কি জনগণকে উপেক্ষা করা নয়? প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়Ñ অন্য কোনো শক্তি।
আমরা জানতে পারি, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং ১৯৯১, ১৯৯৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলনে ভারত বিশেষ করে প্রণব মুখার্জির বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি তার বইয়ের ১১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখেনÑ ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ ছয় দিনের সফরে ভারতে আসেন। তার (প্রণব) সাথে তিনি দেখা করেছেন। এ সব মানুষ ভুলে যায়নি। একইভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলনে কঠোর অবস্থানে থাকার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পরামর্শও শেখ হাসনিাকে দিয়েছিলেন প্রণব মুখার্জি। তিনি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সব ধরনের অপচেষ্টাই শুরু করেছেন। তাদের ভয় খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে এবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরো একটি প্রহসনের নির্বাচন করা সহজ হবে না। তাই সাজানো মামলায় তাকে জেলে দেয়া হয়েছে। সরকার খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য তাকে নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তারা চায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরো একটি নির্বাচনী প্রহসন সম্পন্ন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে। তবে সারা দেশের জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠছে ক্ষমতাসীনদের সে আশা পূরণ সহজ হবে না বলে দেশের অনেকে মনে করেন। জনগণ চায় তাদের ভোটাধিকার। তারা যেন ভোট দিতে পারেন। কোনো অশুভ শক্তি যেন ভোটাধিকার হাইজ্যাক করতে না পারে।
মো: মফিজ উল্যাহ
বিশিষ্ট ব্যাংকার (অব:)


আরো সংবাদ



premium cement